সদ্যসমাপ্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে যেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসার নামই বনে গিয়েছিলেন শেখ মাহেদী হাসান। বল হাতে তুলে নিয়েছেন ৮ উইকেট। বাংলাদেশ যে উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল, তাতে বড় অবদানই ছিল তার। তাই সিরিজসেরার পুরস্কারটা পেয়ে গেছেন তিনি।
তবে বছরের শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না তার। বিশ্বকাপে জায়গা পাননি দলে। তবে সেটা তিনি মেনে নিয়েছেন, শ্রদ্ধা জানিয়েছেন টিম কম্বিনেশনকে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলার অভিজ্ঞতা তার হয়ে গিয়েছিল রংপুর রাইডার্সের হয়ে গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলে।
সে অভিজ্ঞতাই কাজে লাগিয়েছেন এই সিরিজে। তিন ম্যাচ মিলিয়ে ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৪ এর একটু বেশি, ৪৬ রান খরচায় নিয়েছেন ৮ উইকেট। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের সময় আমাদের কাছে অনেক বিকল্প এবং টিম কম্বিনেশন ছিল। এ কারণেই আমি খেলার সুযোগ পাইনি। তবে আমরা আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজে এসেছি, গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে আমার ভালো আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছিল এবং এই সিরিজের জন্য কিছু অভিজ্ঞতাও হয়েছে।’
উইন্ডিজের উইকেট থেকেও সহায়তা পেয়েছেন, বিশ্বাস মাহেদীর। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি এই ধরনের উইকেটে বোলিং করে অনেক উপভোগ করেছি, কারণ বিশ্বকাপের সময় আমি দেখেছি এই ধরনের উইকেট টার্ন করে, স্কেচি আর নিচু থাকে। আমরা সিরিজের আগে পরিকল্পনা করেছিলাম এবং উইকেট-টু-উইকেট বোলিং করছিলাম। এই ধরনের উইকেটে অ্যাকিউরেসির বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এই সিরিজে উইন্ডিজ ব্যাটার নিকলাস পুরান যেন রীতিমতো তার প্রিয় শিকারই বনে গিয়েছিলেন। তিন ম্যাচে তিন বারই আউট হয়েছেন তার বলে। মাহেদী জানালেন, এখানেও তাকে সফলতা এনে দিয়েছে তার অতীত অভিজ্ঞতা।
তিনি বলেন, ‘আমি পুরানকে চিনি, কারণ আমি এবং পুরান বিপিএল এবং আরও অনেক লিগে একসঙ্গে খেলেছি। আমি জানি, পুরান রাইট-আর্ম অফ-স্পিনারের বিপক্ষে কিছুটা সমস্যায় পড়ে। তাই সেটাই ছিল পরিকল্পনা, এবং আমরা পুরানকে আউট করার ক্ষেত্রে সফল হয়েছি।’
দারুণ এক টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ। এবার বাংলাদেশের সামনে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। দল যেমন পারফর্ম করছে, তাতে মাহেদীর বিশ্বাস, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দারুণ কিছুই অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, ‘সবাই ভালো পারফর্ম করেছে। আমাদের একটি দুর্দান্ত টি-টোয়েন্টি এবং টেস্ট সিরিজ ছিল, তবে ওয়ানডেতে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। তবে ছেলেরা টি-টোয়েন্টি সিরিজে সত্যিই ক্ষুধার্ত ছিল। আপনারা আমার টিমমেটদের শরীরী ভাষা এই সিরিজে দেখেছেন। আশা করি আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো করব।’