আক্ষেপ ঘুচিয়ে এনসিএলের চ্যাম্পিয়ন রংপুর

  • স্পোর্টস রিপোর্টার, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা মেট্রো ৬২ রানে অলআউট হওয়ার পরই এনসিএল ফাইনালের নিয়তি নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। রংপুরের সহজ জয়কেই মনে হচ্ছিল ভবিতব্য। শেষমেশ অবশ্য তেমন সহজ হয়নি রংপুরের ইনিংস, তাতে যদিও থেমে থাকেনি তাদের জয়। রংপুর ৫ উইকেটে ম্যাচটা জিতে বনে গেছে এনসিএলের চ্যাম্পিয়ন।

এনসিএলের ফাইনালে আজ ঢাকা মেট্রোর ব্যাটিং লাইন আপ দাঁড়াতেই পারেনি। রংপুরের তোপের মুখে অলআউট হয় মোটে ৬২ রান তুলতেই।

বিজ্ঞাপন

এনসিএলের শুরুর দিকে বেশ রান প্রসবা ম্যাচ দেখা গেলেও শেষ দিকে এসে সে ধারা দেখা যাচ্ছে না। শেষ চারের লড়াইতে লো স্কোরিং ম্যাচ দেখা গেছে, ফাইনালেও তাই। 

আজ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ঢাকা মেট্রোকে চেপে ধরে রংপুর। মুকিদুল ইসলাম শুরুতেই ধাক্কা দেন প্রতিপক্ষকে, তিনি নেন ১২ রানে ৩ উইকেট। তার বোলিং সঙ্গী আলাউদ্দিন বাবুও সমান রান খরচায় নেন সমান উইকেট। 

বিজ্ঞাপন

রংপুরের সম্মিলিত বোলিং তোপে পড়ে ঢাকা মেট্রো সুবিধা করতে পারেনি। দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পেরেছেন দুজন, শামসুর রহমান আর আবু হায়দার। দুজনও করেছেন যথাক্রমে ১৪ ও ১৩। যার ফলে ঢাকা মেট্রোর ইনিংসও বড় হয়নি, ৬২ রানেই শেষ হয়ে গেছে।

জবাবে রংপুর শুরুটা মন্দ করেনি। দুই অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলে উইকেট খোয়ানো ছাড়াই। এরপরই শুরু হয় দলটার বিপদে পড়ার। ১৪ থেকে ১৮, এই চার রান তুলতে তারা খুইয়ে বসে ৪টি উইকেট। রংপুর পরিস্থিতিটা সামাল দেয় আরিফুল হকের ব্যাটে। তার দ্রুতগতির ১৪ রানের ইনিংস দলকে বিপদমুক্ত করে জয়ের কাছে নিয়ে যায়। দলীয় ৪২ রানে তিনি পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে আউট হন।

তবে এরপর রংপুরকে আর কোনো বিপদে পড়তে দেননি আনামুল হক আনাম ও তানবীর হায়দার। তাদের অবিচ্ছিন্ন ২৩ রানের জুটি দলকে নিয়ে যায় জয়ের বন্দরে। আর তাতেই এনসিএল টি-টোয়েন্টির চ্যাম্পিয়ন বনে যায় রংপুর।

চলতি বছর এনসিএলের চার দিনের ফরম্যাটে দলটা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে ছিল শেষের আগের রাউন্ড পর্যন্ত। তবে শেষে টানা তিন ড্রয়ে সে দৌড় থেকে ছিটকে পড়ে দলটা। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সে আক্ষেপটাই যেন খানিকটা ঘোচাল রংপুর।