গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের থেকেই কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্বের শুরু হয়। ঘটেছে মিটিংয়ে অনুপস্থিতি থেকে শুরু করে জিম সেশন বয়কটের মত ঘটনা।

তবে এবার বাটলারের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগের তীর ছুড়ে দিয়েছেন ফুটবলাররা। তার বিরুদ্ধে মানসিক হয়রানি ও উৎপীড়নসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়েরা।

এমনকি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এই ব্রিটিশ কোচকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে একযোগে অবসরের হুমকিও দিয়েছেন তারা। আজ বৃহস্পতিবার বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ সব ঘোষণা দেন সাবিনা খাতুন, মনিকা চাকমাসহ ১৮ ফুটবলার।

আজ সকালে বাটলারের অধীনে ১২ জন ফুটবল খেলোয়ার জিমে অংশ নেন। ক্যাম্পে থাকা বাকি ফুটবলারেরা সন্ধ্যার পর কোচের বিরূদ্ধে তাদের লিখিত বক্তব্য পেশ করেন। যেখানে ছিলেন অধিনায়ক সাবিনা, মনিকা, শামসুন্নাহার, সানজিদা, ঋতুপর্ণা, মাসুরাসহ ১৭ সিনিয়র ফুটবলার।

তবে খেলোয়াড়রা আশা করছেন বাফুফে তাদের ন্যায্য সমাধান এনে দেবে। তা না হলে পিটারের অধীনে কোন ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশ নেবেন না বলে জানান তারা। তারা বলেন,‘বাফুফে যদি বাটলারকে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে,তাহলে আমরা একযোগে পদত্যাগ করতে বাধ্য হব। ভেবে নিব, দেশের নারী ফুটবলে আমাদের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে।

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলারের অধীনে সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে কোচের সঙ্গে সিনিয়র নারী খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্বের খবর পুরোনো।

নতুন মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়া পিটার মঙ্গলবার টিম মিটিং ডাকলেও নারী ফুটবলাররা অংশ নেননি। এরপর আজ বৃহস্পতিবার জিম সেশন থাকলেও সেখানে অংশ নেননি কোনো সিনিয়র ফুটবলার। মাত্র ১২ জন তুলনামূলক জুনিয়র খেলোয়াড়দের নিয়েই অনুশীলন পর্ব শেষ করতে হয় পিটারকে।

কোচের সঙ্গে সিনিয়র খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্ব অবশ্য শুরু হয় গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকেই। সেখানে নেপালের কাঠমান্ডু সাফে সিনিয়র ফুটবলারদের সঙ্গে কোচের বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয়। কোচ পিটার বাটলার নাকি সিনিয়র খেলোয়াড়দের পছন্দ করেন না এমনটাই গুঞ্জন উঠেছিল।

বাটলার উঠতি ফুটবলারদের বেশি প্রাধান্য দেন। এতে অনেক ফুটবলার মনে করেছেন, তারা কোচের কাছ থেকে যোগ্য সম্মান পাননি, উল্টো অবমূল্যায়িত হয়েছেন। মূলত দ্বন্দ্বের শুরু এখান থেকেই।

অবশ্য সাফচলাকালীন বিষয়টি প্রকাশ্যে এলেও নারী ফুটবল কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ দুই পক্ষকে সাময়িকভাবে শান্ত করেন। তবে বাফুফে নতুন করে কোচ বাটলারের মেয়াদ বাড়ানোতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক সিনিয়র নারী ফুটবলার। কোচের সঙ্গে সমস্যাগুলো নিয়ে তারা ফেডারেশনের সভাপতির সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করতে চান বলেও জানা গেছে।

আজ জিম সেশনে সিনিয়র নারী ফুটবলারদের অনুপস্থিতিতে কিছুটা বিরক্ত হতে দেখা গেছে কোচ পিটার বাটলারকে। তবে বাটলার অবশ্য কথায় প্রকাশ করেনি কোনো বিরক্তি। ফুটবলারদের অনুপস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে বাটলা

চলতি বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে শুরু থেকে কম জল ঘোলা হয়নি। শেষদিকে এসে আরেকটি দুঃসংবাদ দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। আগামী মাসে শুরু হতে যাওয়া বৈশ্বিক এই অনুষ্ঠানের আগে কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে পিসিবি। 

ভারতের আপত্তিতে এককভাবে আয়োজনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করলেও শেষপর্যন্ত একটি জমকালো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি উপহার দিতে পারছে না পিসিবি। সাদামাটা ভাবেই শুরু হচ্ছে এবারের আসর। যেখানে কোনো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থাকবে না। 

আগামী ১৬ কিংবা ১৭ ফেব্রুয়ারি করাচি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এবারের আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তবে টুর্নামেন্টের অল্প কিছুদিন বাকি থাকলেও এখনো প্রস্তুত হয়নি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভেন্যু করাচি স্টেডিয়াম। একই সাথে নিরাপত্তার কারণে এই অনুষ্ঠানে আসার অনুমতি পাননি ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

অন্যদিকে আইসিসির সূত্র জানিয়েছে, ‘আইসিসি এবং পিসিবি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া দলের আগমনের সময়সূচী, তাদের খেলোয়াড়দের চাপ ব্যবস্থাপনার কথা বিবেচনা করে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’ 

১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া এখনো পাকিস্তানে পৌছাতে পারে নি বলে জানিয়েছে পিসিবি। ইংল্যান্ড লাহোরে পা রাখবে ১৮ ফেব্রুয়ারি আর অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তানে পৌঁছাবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। মূলত ভারত ও শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজ শেষেই পাকিস্তানে যাবে এই দুই দেশ। আর এই দুই দলের দেরিতে আসার কারণেই শেষ পর্যন্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি।

দুঃস্বপ্নের মত সময় কাটছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসানের। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থেকেই দেশের বাইরে আছেন।

বোলিংয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা পাননি। বিপিএলে চিটাগং কিংসে খেলার কথা থাকলেও তা সম্ভর হয়নি। শেষে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে সাকিবের উপর। বাংলাদেশ ক্রিকেটে সাকিব এখন কেবলই এখন অনিশ্চয়তার নাম। দেশের হয়ে লাল সবুজের জার্সিতে আর তাকে দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে আছে সংশয়।

সম্প্রতি আইসিসির বর্ষসেরা দলে জিম্বাবুয়ের খেলোয়াড়দের জায়গা হলেও জায়গা হয়নি বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের। বর্ষসেরা দলে কোনো বাংলাদেশির জায়গা না পাওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে এবার সাকিবকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার আকাশ চোপড়া।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আকাশ বলেন,‘যেহেতু সাকিব বাংলাদেশের হয়ে আর খেলবেন না, তাই অদূর কিংবা দূর ভবিষ্যতে এসব বর্ষসেরা একাদশে কোনো বাংলাদেশিকেই পাওয়া যাবে না। সাকিবকে ছাড়া বাংলাদেশকে বিশ্ব ক্রিকেটে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
আকাশ আরও বলেন,‘সাকিববিহীন বাংলাদেশ দলটার নামই আর কোথাও দেখা যাবে না। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি, টেস্ট- কোনো বর্ষসেরা একাদশেই বাংলাদেশি নেই। মাঠে ও মাঠের বাইরে-তাদের শুধু পতনই হচ্ছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’

এর আগে সাকিব ২০০৯ সালে আইসিসির বর্ষসেরা দলে জায়গা করে নেওয়ার পাশাপাশি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালেও আইসিসির বর্ষসেরা ওডিআই দলে জায়গা করে নেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই অল-রাউন্ডার