অ্যাপলকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে ম্যাসিমো স্মার্টওয়াচ
টেক জায়ান্ট অ্যাপলকে ২শ ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে ম্যাসিমো স্মার্টওয়াচ কোম্পানিকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন আদালত।
‘ইন্টেলেক্টচুয়াল প্রোপার্টি’ (পেটেন্ট মামলা) আইন লঙ্ঘনের দায়ে মার্কিন ফেডারেল জুরি বোর্ড এ আদেশ দিয়েছেন বলে জানা যায়।
তবে এ ধরনের মামলায় সাধারণত ৩.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের উদাহরণ থাকলেও শুধুমাত্র ‘ক্ষতিপূরণ’ হিসেবে এত অল্প (২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন ফেডারেল জুরি।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, স্বাস্থ্য পরিবীক্ষণ (মনিটরিং) টেক জায়ান্ট স্মার্টওয়াচ নির্মাতা ম্যাসিমো তার একটি নতুন ট্যাব (জানালা) খুলে পুরনো ভার্সনের দুটি স্মার্টওয়াচ প্রদর্শন করে।
এই দুটি স্মার্টওয়াচের ডিজাইন অ্যাপলের ডিজাইনের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় অ্যাপল পেটেন্ট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে (ইন্টেলেক্টচুয়াল প্রোপার্টি) মামলা করে।
এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেলওয়ারের জুরি বোর্ড অ্যাপলের সঙ্গে একমত পোষণ করে জানায়, ম্যাসিমো ইচ্ছাকৃতভাবে ‘ডব্লিউ ১’ ও ‘ফ্রিডম’ মডেল দুটির ডিজাইনের মাধ্যমে অ্যাপলের ‘ইলেক্টচুয়াল প্রোপার্টি’ অধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে।
এ জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের উদাহরণ থাকলেও শুধুমাত্র ক্ষতিপূরণ বাবদ অ্যাপলকে ২.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতিপূরণ দিতে ম্যাসিমো স্মার্টওয়াচকে নির্দেশ দিয়েছেন ফেডারেল জুরি।
এ বিষয়ে অ্যাপলের অ্যাটর্নি আদালতকে বলেছেন, এ মামলা ‘আর্থিক’ বিষয়ে ছিল না। ম্যাসিমো ‘ইন্টেলেক্টচুয়াল প্রোপার্টি’র আইন লঙ্ঘন করে ম্যাসিমোর দুটি স্মার্টওয়াচ বিক্রির ওপর ‘ইনজাংশন’ জারির।
তবে এ বিষয়ে জুরি বলেন, ম্যাসিমোর বর্তমান ঘড়ি অ্যাপলের পেটেন্ট কপি করেনি।
এ রায়ের পর ম্যাসিমো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জুরির রায় ম্যাসিমোর পক্ষ গেছে। জুরি পক্ষের রায় সেই মডুল ও চার্জারের পক্ষে বিপক্ষে গেছে, যা আর বিক্রি করা হচ্ছে না।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অ্যাপল সে সময়কার চলমান সামগ্রীর ওপর ইনজাংশন জারি করেছিল। সুতরাং ম্যাসিমোর জন্য এটি একটি বড় বিজয়।
অন্যদিকে, অ্যাপলও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফেডারেল জুরির রায় উদ্ভাবনের পক্ষে গেছে, যা আমাদের গ্রাহকদের পক্ষে যায়!