ডিসেম্বর মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি কমেছে। সাধারণ মানুষকে সবচেয়ে বেশি চাপে রাখা খাদ্য মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। ডিসেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। তবে মূল্যস্ফীতির এই দুই হার এখনো দুই অঙ্কের ঘরে থাকার মানে হলো, নির্দিষ্ট আয়ের মানুষকে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বিদায়ী ২০২৪ সালের সর্বশেষ মাসের মূল্যস্ফীতি তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তার আগের বছরে, অর্থাৎ ২০২৩ সালে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৪৮।
এদিকে নভেম্বর মাসে সার্বিক খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ থাকলেও ডিসেম্বর মাসে সেটি কমে ৯ দশমিক ২৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া ডিসেম্বর মাসে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ০৯ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
আর শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।