আন্তর্জাতিক সংগঠন দ্য সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজশনের (এসসিও) ২ দিনব্যাপী ২৩ম বৈঠক পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার।
আগত অতিথিদের নিরাপত্তা বিধানে ইসলামাবাদের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শপিংমল, কমিউনিটি সেন্টার, ব্যায়ামগার, জনসভা ৩ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ৩ ও ৪ জুলাই কাজাখস্তানে ২২তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে যোগ দিতে ইতোমধ্যে পাকিস্তান পৌঁছেছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিউয়াং। তাকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে চীনের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয়।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানায়, ভারতের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল, রাশিয়ার ৭৬ সদস্য, চীনের ১৫ সদস্য, ইরানের ২ সদস্য এবং কিরগিজস্তানের ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
চীন, রাশিয়া, বেলারুশ, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।
অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এবং ইরানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী লুভসাননামস্রেইন ওইউন-এরডেন পর্যবেক্ষক এবং তুর্কমেনিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রশিদ মেরেদভ বিশেষ অতিথি হিসেবে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন।
২০০১ সালের ১৫ জুন চীনের সাংহাইতে দ্য সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজশনের (এসসিও) নামে এই সংগঠনটি গঠন করা হয়। সে সময় ৬টি দেশ এর সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। এই দেশগুলি হচ্ছে- চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান।
এসসিও গঠনের উদ্দেশ্য
দ্য সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজশনের (এসসিও)-এর উদ্দেশ্য হিসেবে ধরা হয়, সংগঠনের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা শক্তিশালী এবং সহযোগিতা বাড়ানো; নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার মাধ্যমে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং নিরাপত্তা ইস্যুগুলো সমাধান করা; সন্ত্রাসবাদ ও চরম উগ্রপন্থা দমনের জন্য সদস্য দেশগুলোর মধ্যে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা জোরদার করা।
সদস্য দেশ
১০ সদস্য বিশিষ্ট এই এসসিও সংগঠনে রয়েছে- রাশিয়া, চীন, ভারত, কিরগিজস্তান, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, ইরান এবং ২০২৪ সালের জুলাই মাসে যোগ দেওয়া বেলারুশ।