কিয়েভের ৬ দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শুক্রবার ভোরে এ হামলায় অন্তত একজন নিহত এবং ১২জন আহত হয়েছে বলে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হামলায় ছয়টি বিদেশি দূতাবাস ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া হামলায় আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্যরা ঘটনাস্থলে চিকিৎসা নিয়েছে। কিয়েভ শহরের সামরিক প্রশাসন একটি টেলিগ্রাম পোস্টে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় কিয়েভে অবস্থিত আলবেনিয়া, আর্জেন্টিনা, উত্তর মেসিডোনিয়া, ফিলিস্তিন, পর্তুগাল ও মন্টিনিগ্রোর কূটনৈতিক মিশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলায় একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইউক্রেনের এয়ার ফোর্স কমান্ড জানিয়েছে, রাশিয়া কিয়েভে পাঁচটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যার সবকটিই ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা দ্বারা বাধা দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও, ৪০টি মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকেল (ইউএভি) ধ্বংস করা হয়েছে এবং আরও২০টি ড্রোন তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু তারপরেও ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ে কিয়েভের শহরের কেন্দ্রে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন, শত্রু বাহিনীর হামলায় আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কিয়েভের চারটি এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্রের ধংসাবশেষ পড়ে গাড়ি ও ভবনে আগুন ধরে যায়। সব জায়গাতেই জরুরি বিভাগের কর্মীরা কাজ করছেন। অবশ্য হামলার আগেই ইউক্রেনের বিমান বাহিনী কিয়েভের বাসিন্দাদের সতর্ক করেছিল। তারা বলেছিল, উত্তর দিক থেকে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধেয়ে আসছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা আরো বলেছেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন ও আরো কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এরমধ্যে খেরসনে একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
রাশিয়া বলেছে, তাদের বাহিনী চলতি সপ্তাহে রোস্তভ অঞ্চলে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনায় দুরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে আঘাত হেনেছে।