হজ একটি ফরজ ইবাদত। এটা হালাল টাকায় পালন করা জরুরি। শুধু হজ নয়, কোনো ইবাদতই হারাম উপার্জন দিয়ে পালন করা যায় না।
অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ দ্বারা হজ করা
অন্যের সম্পদ জবরদখল করে মালিক হওয়া কবিরা গুনাহ ও মারাত্মক অপরাধ। তাই ওই ব্যক্তি হজের লাভ ও উদ্দেশ্য থেকে বঞ্চিত হবে। কারণ হাদিস শরিফে আছে, এক ব্যক্তি বহুদূর থেকে সফর করে বায়তুল্লাহ শরিফে পৌঁছে, যার চুলগুলো এলোমেলো এবং শরীর ময়লাযুক্ত, সে সেখানে- ‘হে আমার প্রতিপালক! হে আমার প্রতিপালক! বলে চিৎকার করে দোয়া করে, অথচ তার অন্ন, বস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী—সবই হারাম, তাহলে কিভাবে তার দোয়া কবুল হবে? অতএব, হজে যাওয়ার আগে নিচের বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত-
১. কারো কোনো হক বা পাওনা থাকলে তা আদায় করা।
২. কারো আমানত (গচ্ছিত সম্পদ) থাকলে তা পরিশোধ করা।
৩. কারো কোনো জিনিস অবৈধভাবে দখল করলে বা আটকে রাখলে তা ফেরত দেওয়া, অন্যথায় তা শুধু নামের হজ হবে। -ফতোয়ায়ে রহিমিয়া : ৩/১১৬
ঘুষখোরের হজ
কোনো ব্যক্তির বেতন হালাল এবং সে ঘুষ গ্রহণ করে, তাহলে সে যদি বেতনের টাকায় হজ করে তার হজ বৈধ হবে। তবে হজ কবুল হওয়ার জন্য হারাম উপার্জন ঘুষ খাওয়া থেকে তওবা করতে হবে। কারণ হাদিসে আছে, যে শরীরের খাদ্য হারাম, জাহান্নামের আগুন তার বেশি উপযোগী। আর যদি ঘুষের অর্থ দিয়ে হজ করা হয়, তাহলে তা জায়েজ হবে না। কারণ ঘুষের টাকা মালিকের কাছে পৌঁছে দেওয়া আবশ্যক।