শেখ হাসিনাকে ফেরাতে পারলে বিচারটা ভালো হবে: চিফ প্রসিকিউটর

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-12-24 15:06:06

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরকার যদি ফেরত আনতে পারে তাহলে বিচারটা ভালো ভাবে করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের অনুরোধের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পদক্ষেপ নিয়ে নোট ভারবাল দিয়েছে এবং কূটনৈতিক চ্যানেলেও তাকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার যদি সফলভাবে তাকে আমাদের কাছে আনতে পারেন তাহলে বিচার আরও ভালোভাবে করা সম্ভব হবে। নির্দিষ্টভাবে এই ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও ট্রাইবুনাল আলাদা নয় বরং রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যা করা হয়েছে তা আমাদের অনুরোধের ভিত্তিতেই করা হয়েছে। এ ধারাবাহিক প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন হলে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ভারতের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য বাংলাদেশ তাকে ফেরত চেয়েছে। এটা ভারতকে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে ভারতকে নোট ভারবাল পাঠানো হয়েছে।

এরআগে, গত ১০ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে চিঠি দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় পৃথক মামলায় প্রসিকিউশনের আবেদনে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনের পতন হয়।

গত জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মুলে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে। জাজ্বল্যমান এ অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে।

Related News