স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা পাড়ের মানুষ। ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত নোয়াখালী, ফেনী,কুমিল্লার মানুষ। বন্যাকবলিত তাদের নিদারুণ কষ্ট দেখে এই দৃশ্য দেখে আতঙ্কে দিন কাটছে তিস্তা পাড়ের মানুষের। তারা ধারণা করছেন ভারতের জলপাইগুড়ির গজলডোবায় নির্মিত তিস্তা ব্যারেজের জলকপাট খুলে দিলে ভয়াবহতা দেখা দিবে তিস্তায়৷ তাই শঙ্কিত নদীর দুই পাড়ের মানুষ।
তবে কাউনিয়া তিস্তা ব্রীজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার বেশ নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই শঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।
তিস্তার পানির অবস্থা নিয়ে কাউনিয়া উপজেলারচর ঢুসমারা এলাকার কৃষক জলিল মিয়া,বক্করআলী বলেন, "গত ২২ তারিখ বৃহস্পতিবার থকি তিস্তার পানি বাইচ্ছে। পরের দিনই অনেক কমি গেইচে। হামার এতি এ্যালাও বিপদ সংকেত নাই। কিন্তু ফেনী, নোয়াখালী ভয়াবহ বন্যা দেখি হামরাও আতঙ্কে আছি। কখন এ্যালা ভারত পানি ছাড়ি দেয় হামরাও তলামো এই চিন্তাত আইতে নিন না ধরে। প্রতি বছরে হামরা সর্বহারা হই। যতদিন তিস্তা মহাপরিকল্পনা হয় নাই ততদিন এই দুঃখ হামার কপাল থাকি ঘোচাবার নয়।"
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, কাউনিয়া পয়েন্ট তিস্তার পানি বিপদসীমার ০.৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এখনো তিস্তাপাড়ের মানুষের চিন্তার কোন কারণ নেই৷ তিস্তার বুকে বিপুল পরিমাণে পানি জমা হয়েছে। এতে নদীতে পানির ধারণ ক্ষমতা অনেক কমে গেছে। মূলত এ কারণেই একটু পানি বাড়লেই তিস্তাপাড়ে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দেয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আহসান হাবিব সরকার জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত। এখন পর্যন্ত বন্যার আশঙ্কার কারণ নেই। বন্যা হওয়ার মত পানি পরিস্থিতি হয়নি। নদীর পানি বৃদ্ধির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।