ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর হিসেবে আগামী ২ নভেম্বর জাতীয় পার্টির পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশকে প্রতিহত করবে গণঅধিকার পরিষদ। বার্তা২৪. কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও দফতর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনাটিকে গণঅধিকার পরিষদকে দায়ী করেন জাতীয় পার্টি।
জাতীয় পার্টি যুগ্ম-দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনাটিকে গণঅধিকার পরিষদকে দায়ী করেন। তিনি বার্তা২৪. কমকে বলেন, বিকেলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগামী ২ নভেম্বর পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে সফল করার জন্য মহানগর নেতাদের সাথে বৈঠক চলছিলো। এই সময় বাইরে থেকে কে বা কারা দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করতে শুরু করে। একপর্যায়ে তারা ধাওয়া দিলে হামলাকারী পালিয়ে যায়।
জাতীয় পার্টি এই নেতার অভিযোগ, হামলাকারীরা তাদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গেলে বিজয় নগরে অবস্থিত গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় থেকে একটি মিছিল নিয়ে আমাদের পার্টি অফিসে আগুন দেয়। আগুন দেওয়ার ঘটনাটিকে তিনি গণঅধিকার পরিষদকে দায়ী করেন।
এই বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের দফতর সম্পাদক ও উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির নিজেদের নেতাকর্মীরা নিজেদের অফিসে আগুন দিয়েছে। আমরা কেন তাদের অফিসে আগুন দিতে যাবো।
আগামী ২ নভেম্বর জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে এটি কোন ষড়যন্ত্র কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত জাতীয় পার্টিকে ঢাকায় কোন বিক্ষোভ সমাবেশ করতে দেওয়া হবে। তাদের বিক্ষোভ সমাবেশ প্রতিহত করবে গণঅধিকার পরিষদ।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে আগুন দেওয়া হয়েছে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।
এই বিষয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন রশিদ জানান, সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতাকে নিয়ে মিছিল শুরু করি। বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিল শেষ হওয়ার কথা। তবে মিছিলটি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তরের সামনে যাওয়ার সাথে সাথে উপর্যুপরি আক্রমণ করা হয়। আমাদের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে আগুন নেভাতে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এলে ছাত্রদের বাধার মুখে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এসময় ছাত্ররা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে কয়েক মিনিটের মধ্য পুলিশের সহায়তায় আগুন নেভানোর জন্য প্রবেশ করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। সেখানে ৫ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এর আগে জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর ঘোষণা দিয়ে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ওই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির ঘোষণার পর সারজিস আলম রংপুরে গেলে লাঠি ও ঝাড়ু মিছিল করে প্রতিবাদ জানায়। এরপর থেকে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।