লালমনিরহাটের বহুল আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা সাখওয়াত হোসেন সুমন খানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে সিআইডি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে সিআইডি'র সহকারি পুলিশ সুপার আব্দুল হাই সরকার বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
শাখাওয়াত হোসেন সুমন খান লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা শহরের কালীবাড়ি মাস্টারপাড়া এলাকার মৃত বাচ্চু খানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে জমি দখল, হুন্ডি ব্যবসা, চোরাচালান, টেন্ডারবাজি সহ অসংখ্য অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন ধরে। হুন্ডির ব্যবসার কারণে তিনি হুন্ডি সুমন নামেও জেলা জুড়ে পরিচিত।
মামলার এজাহার ও সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন খানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন, ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ অর্থ, চোরাচালান, মাদক ব্যবসা, স্বর্ণ ও মুদ্রা পাচার ইত্যাদির বিষয়ে দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে লালমনিরহাট সিআইডি পুলিশ। অনুসন্ধানে সুমন খানের ব্যাংকে ২৩৭,৪৯,৪৮,৭৬০/- (দুইশত সাইত্রিশ কোটি ঊনপঞ্চাশ লক্ষ আটচল্লিশ হাজার সাতশত ষাট) টাকা, তার স্ত্রী মোছা. নাহিদা আক্তার রুমা (৪৩) এর ব্যাংক একাউন্টে ৪,৩৯,৩৫,৩১০/-(চার কোটি ঊনচল্লিশ লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার তিনশত দশ) টাকার সন্ধান মেলে।
এছাড়া সুমন খানের কর্মচারী লালমনিরহাট পুরান বাজার এলাকার বাসিন্দা হারুনের ছেলে তৌকির আহমেদ মাসুম (৩৮) এর ব্যাংক একাউন্টে ১৮৬,৯৫,৬২,১২৭/- (একশত ছিয়াশি কোটি পঁচানব্বই লক্ষ একষট্টি হাজার একশত সাতাশ) টাকা পাওয়া গেছে। বৈধ আয়ের উৎস না থাকলেও তাদের ব্যাংক একাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থের জমা, স্থানান্তর ও রুপান্তর করা হয় । এসব অপরাধে ২০১৫ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সিআইডি পুলিশ।
সিআইডি লালমনিরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুল হাই সরকার জানান, নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি সিআইডি তদন্ত করবে। আসামিদের প্রত্যেককে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলমান আছে।