পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে জেলা আ.লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরদার মিঠু আহমেদকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত ১১টার পর শহরের লাইব্রেরী বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা সদর থানার ওসি আ. সালাম।
ওসি জানান, সরদার মিঠু এজাহারনামীয় আসামি নন। তবে বিভিন্ন সূত্রে পাবনায় ছাত্র হত্যার ঘটনায় তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ থাকায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের কাছে থাকা ওইদিনকার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ ও বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তার সম্পৃক্তা যাচাই করে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে। পাবনায় ছাত্র হত্যার কোন মামলায় তাকে আটক করা হয়েছে সেটিও পরে জানাতে পারবেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট বেলা সোয়া ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভে নামেন ছাত্র-জনতা। পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের প্রধান ফটক থেকে তারা মিছিল নিয়ে শহরের ট্রাফিক মোড়ে এসে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিক্ষোভকারীদের দিকে কয়েকটি গুলি ছোড়েন কয়েকজন। এতে দুই ছাত্র নিহতের পাশাপাশি অন্তত ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় ক্ষুব্ধ লোকজন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদের গাড়িতে আগুন দেন। বিক্ষুব্ধ লোকজনের দাবি, ওই গাড়ি থেকে নেমে গুলি করা হয়।
গুলিতে নিহত দুজন হন, সদরের চর বলরামপুর গ্রামের দুলাল উদ্দিনের ছেলে ও পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম ও হাজিরহাট বেতেপাড়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও শহরের সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মাহবুব হাসান নিলয়।
এ ঘটনায় জাহিদুলের বাবা মো. দুলাল উদ্দিন পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ছাত্রদের দিকে গুলি করার হুকুম দেওয়ার অভিযোগে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় পাবনা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুকসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১০৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া এঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে বলেও জানা গেছে।