এক যুগ পর বহুল আলোচিত বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প (বিআরটি) ১০টি এসি বাস নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। তবে সড়ক বিভাজন, স্টেশন, ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণসহ বেশ কিছু কাজ বাকি রয়েছে এ প্রকল্পে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন।
এর আগে ভোর সাড়ে ৬টায় জয়দেবপুর রেলস্টেশনে জয়দেবপুর-ঢাকা রুটে এক জোড়া কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে উদ্বোধনের পর গাজীপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত বিআরটিসির ১০টি বাস চলাচল শুরু হয়েছে। সেই সাথে ফার্মগেট, শাহাবাগ পর্যন্ত এই পরিবহন সেবা দেবে। এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলেও কিছু সমস্যা থাকায় অনেকটাই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে দেখা গেছে যাত্রীদের। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি কমাতে এবং সময় বাঁচাতে বিআরটি প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হলেও দেশের সব প্রকল্পের চেয়ে বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে এই প্রকল্পে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. এহছানুল হক জানান, এখনো পর্যন্ত প্রকল্পের ৯৮ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ বাস চলাচলের মধ্যেও চলমান থাকবে। আশা করছি, আগামী বছরের জুনে এই প্রকল্প পুরোপুরি শেষ হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১ ডিসেম্বর বিআরটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। শুরুতে ব্যয় ধরা হয় ২ হাজার ৩৯ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। এরপর কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল। সবশেষ বলা হয়েছিল চলতি বছরের আগস্টে কাজ শেষ হবে। পরে সরকার ডিসেম্বরে উদ্বোধনের কথা জানায়। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিআরটি প্রকল্পে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। ফলে প্রকল্পের উদ্বোধন নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। বিআরটি প্রকল্পে বলা হয়েছিল, বিআরটি বাস্তবায়িত হলে ১০০টি আর্টিকুলেটেড বাসের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় ২৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করবে।