কমলো থাই ভিসার খরচ, ১০ দিনে মিলবে ভিসা

, জাতীয়

মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড | 2024-12-16 16:30:41

তিন হাজার পাঁচশত টাকায় থাই ভিসার আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা। ফলে পূর্বে ভিসা সেন্টার এবং এজেন্সির জন্য যে বাড়তি দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টাকা খরচ হতো, সেটি সাশ্রয় হবে। এছাড়াও আবেদনের দশ দিনের মধ্যেই ই-ভিসা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশে অবস্থিত থাই দূতাবাস।

ই-ভিসা সম্পর্কিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানিয়েছে, আগামী ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশের সরকারি পাসপোর্টধারীরা ই-ভিসার আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া ২ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে বাংলাদেশিদের ই-ভিসা দিবে ঢাকায় নিযুক্ত থাই দূতাবাস।

ভিসার আবেদন জমা দেয়ার পর ১০ কর্মদিবসের মধ্যেই ভিসার স্ট্যাটাস জানানো হবে ফিরতি ই-মেইলে। সব ঠিক থাকলে ই-মেইলেই চলে আসবে ভিসা।

বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা আবেদনে পূর্বের মতোই ব্যাংকে সর্বনিম্ন ৬০ হাজার টাকা জমা রয়েছে দেখাতে হবে। একই সাথে বিগত ৬ মাসে একাউন্টে নিয়মিত লেনদেন থাকতে হবে৷ ভিসার আবেদন ফর্মের সঙ্গে এই একাউন্ট স্টেটমেন্ট প্রদান করতে হবে৷

ঢাকার রয়েল থাই এম্বাসি জানিয়েছে www.thaievisa.go.th ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হবে এবং ফর্ম পূরণ করে আপলোড করতে হবে। সুতরাং পাসপোর্ট জমা দেয়ার কোনো কারণ নেই।

দূতাবাস জানিয়েছে নতুন ব্যবস্থাপনায় ভিসা ইস্যু হলে সেটি ই-মেইলে পাঠানো হবে। ভিসার কাগজটি প্রিন্ট করে সঙ্গে রাখতে হবে থাইল্যান্ডে প্রবেশের সময় ইমিগ্রেশনের প্রয়োজনে।

বর্তমানে যে ৪টি ভিসা সেন্টার চালু রয়েছে সেগুলো আগামী ২৪ ডিসেম্বর থেকে আবেদন নেয়া বন্ধ করে দিবে।

দূতাবাসের দেয়া তথ্যমতে, কিছু কারিগরি কারণে আপাতত ই-ভিসার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভিসা ফি জমা দেয়া যাবে না। ভিসা আবেদন অনলাইনে জমা দেয়ার পর একচি কিউআর স্ক্যান এবং পেমেন্ট ইনফো সামারি প্রদান করা হবে৷ www.combank.net.bd/thaivisa ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভিসা ফি জমা দিতে হবে এবং জমা স্লিপ আপলোড করতে হবে। নগদে বা অন্য কোনো ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো ভিসা ফি জমা নেয়া হবে না।

নিজ নিজ ইমেইল থেকে ভিসা আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনে যেন দূতাবাস যোগাযোগ করতে পারে। দৈনিক ৪০০টির বেশি ভিসা আবেদন গ্রহণ করা হবে না। এবং দূতাবাসের একাউন্টে ভিসা ফি জমা দেয়ার সময় থাকবে তিন ঘণ্টা, সকাল ৯টা থেকে ১২টা।

Related News