ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে: বাবলু

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2025-01-22 16:39:22

সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন করেছেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক ও গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলু।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ এবং চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও নতুন করে আরোপিত ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

এছাড়াও সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন ও নিরীহ বাংলাদেশি মানুষ হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

বাবলু বলেন, অতিসম্প্রতি লালমনিরহাট সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে বিজিবির সঙ্গে স্থানীয় মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে বিএসএফ পিছু হটে। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া বার বার আগ্রাসী তৎপরতা চালায় তাই এই আগ্রাসন বন্ধে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, আপনারা বাজার নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হোন। ফ্যাসিস্টদের প্রেতাত্মারা এখনও বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। আপনারা সিন্ডিকেট ভাঙার দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি। নিত্যপণ্যের মূল্য কমানোর কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নিয়ে উপরন্ত নতুন করে ভ্যাট ও শুল্ক আরোপ সুবিবেচনা প্রসূত হয়নি। অবিলম্বে নিত্যপণ্যের দাম কমিয়ে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন বাঁচান। নিত্যপণ্যের অব্যাহত মূল্য বৃদ্ধিতে গরিব অসহায় মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে জীবন যাপন করছে।

তিনি বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন ছিল অতি সাধারণ, নিরবে নিভৃতে। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার তাকে উপযুক্ত মর্যাদায় বরণ করেননি। তারা মওলানা ভাসানীর সংগ্রামী ইতিহাসকে আড়াল করার চেষ্টা করলেও ইতিহাস তার স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে। আজ তিনি সকল মহলে বরণীয়, নতুন প্রজন্ম মওলানা ভাসানীকে নিয়ে ভাবে এবং অধ্যায়ন করে। একমাত্র মওলানা ভাসানীর আদর্শ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুল বিশ্বাস, জামিল আহমেদ, নুরুজ্জামান হীরা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, নারী নেত্রী সুমিয়া আক্তার, ছাত্রনেতা মোশারফ হোসেন, এবং পরিষদের অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর হয়ে পুরানা পল্টন এসে শেষ হয়।

Related News