দীর্ঘ এক যুগ পর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের পর খালেদা জিয়া প্রথম প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের বাসভবন ফিরোজা থেকে সেনাকুঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে গাড়িতে রয়েছেন তার কনিষ্ঠ পুত্র প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি ও গৃহকর্মী ফাতেমা।
এছাড়া অন্য গাড়িতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার।
সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ থেকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় সেনাকুঞ্জের উদ্দেশে গুলশানের বাসা থেকে বের হবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লে. জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল এএসএম কামরুল আহসান সস্ত্রীক সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমন্ত্রণপত্র দিয়ে যান।
বিএনপির দলীয় সূত্র বলছে, খালেদা জিয়ার পাশাপাশি ২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে মোট ২৬ জন আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এর মধ্যে আরও রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান এবং অন্য পদমর্যাদার সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা। বিগত সময়ে দলীয়ভাবে এত সংখ্যক নেতা আমন্ত্রণ পেতেন না।