আজ ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সকালেই রোমাঞ্চ ছড়ানো এক জয় দেখেছে বাংলাদেশ। সেন্ট ভিনসেন্টে যেখানে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচটি হলো সেখানে ১৫ ডিসেম্বর রাতে হলেও লিটন দাসরা যখন জিতলেন তখন বাংলাদেশে ১৬ ডিসেম্বর সকাল।
রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে শেষ ওভারে এসে ৭ রানে জিতল বাংলাদেশ। জিততে শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ছিল ১০ রান। কিন্তু হাসান মাহমুদ দুর্দান্ত বল করে স্বাগতিকদের স্বপ্ন ভেঙেছেন। বাংলাদেশ ২০ ওভারে তুলে ১৪৭ রান। এরপর জবাব দিতে নেমে ১৪০ রানে আটকে যায় উইন্ডিজ।
অবশ্য এই পুঁজি নিয়েই দল জিততে পারে এমন আত্মবিশ্বাস ম্যাচের মাঝামাঝিতে ছিল লিটন দাসের। সিরিজে এগিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ অধিনায়ক বলছিলেন, ‘দেখুন, আগেও এখানে খেলেছি আমরা। এবার যখন উইকেট দেখলাম, মনে হলো উইকেটের আচরণ আগের মতো হবে না। ভালো ব্যাটিং উইকেট মনে করেছিলাম। কিন্তু আমরা যখন ব্যাটিংয়ে গেলাম, তখন বুঝতে পারলাম যে এটা আসলে খুব ভালো উইকেট নয়। তখনই মনে হলো ১৬০ থেকে ১৫০ রান এখানে ভালো স্কোর।’
যদিও বাংলাদেশ সেই স্কোর করতে পারেনি। দল আটকে যায় ১৪৭ রানে। তারপরও বিশ্বাস ছিল লিটনের, ‘জয়ের বিশ্বাস অবশ্যই ছিল। কারণ আমাদের বোলারদের সামর্থ্য জানতাম। যে বোলাররা আছে, জানতাম তাদের ওপর ভরসা রাখা যায়।’
অবশ্য লিটন নিজে ব্যাট হাতে ব্যর্থতার বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই শূন্য রানে ফিরলেন লিটন। আক্রমণাত্মক ছিলেন শুরু থেকেই। এমন দলের অন্য ব্যাটাররাও চড়াও হয়ে খেলার চেষ্টা করেছেন। এনিয়ে লিটন বলছিলেন, ‘আমি সবসময়ই চাই তারা যখন খেলবে, আগ্রাসী ক্রিকেট খেলবে। তারা সেটা এর মধ্যেই দেখাচ্ছে। আমাদের ছেলেরা ভালো ক্রিকেট খেলছে।’
এই জয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ দল। তাইতো সিরিজ জয়ে চোখ এখন অধিনায়ক লিটনের। বলছিলেন,
‘এটি আমাদের জন্য অনেক লম্বা সফর। আমরা একটি টেস্ট জিতেছি। আজ প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতলাম। এটা সবাইকে প্রেরণা দিচ্ছে। আর একটি ম্যাচ ভালো খেলতে পারলে সিরিজ আমাদের হবে।’
সেন্ট ভিনসেন্টেই পরের টি-টোয়েন্টি। বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে জিতলেই সিরিজটা টাইগারদের হয়ে যাবে।