বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার শুরুর লগ্ন শুভ মহালয়া আজ। মহালয়া উপলক্ষ্যে চণ্ডীপাঠ শোনা ও প্রার্থনার আয়োজন করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে এ আয়োজন করেন তারা।
বিজ্ঞাপন
এসময় শিক্ষার্থীরা চণ্ডীপাঠ শুনে, দেবী দূর্গার প্রণাম মন্ত্র পাঠ করেন, শ্যামা সঙ্গীতের মাধ্যমে দেবী বন্দনা করেন৷ শেষে ধুনুচি নৃত্যের মাধ্যমে এ আয়োজন শেষ করেন তারা।
এ আয়োজন সম্পর্কে ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তু চন্দ বলেন, ‘আজ থেকে দেবী পক্ষের সূচনা। দেবী দূর্গার আগমনী ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী শিক্ষার্থীরা আজকে মহালয়ার এ শুভ সকালে ছোট্ট পরিসরে ধর্মীয় আচার পালনের আয়োজন করেছি। সকল অশুভ শক্তির বিনাশ হোক এবং শুভ শক্তির উত্থান হোক এটাই মায়ের কাছে আমাদের প্রার্থনা।’
প্রসঙ্গত, আগামী ৯ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গাপূজার শুরু হলেও মূলত আজ থেকেই এ পূজার লগ্ন শুরু হবে। এরপর আগামী ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মাধ্যমে এ বছরের দুর্গোৎসবের সমাপ্তি হবে।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
জানা যায়, গত ১১ জুলাই আবু সাঈদ নিহত হওয়ার আগে ক্যাম্পাস থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মিছিল নিয়ে বের হতে চাইলে ছাত্রলীগ বাধা দেয়। এক পর্যায়ের চর থাপ্পড় দেন আবু সাঈদকে। ওইদিন আবু সাঈদকে গলা টিপে ধরার ঘটনাও ঘটে। এই ট্রমা নিয়েই পরের দিন (১২ জুলাই) পরীক্ষা দেন আবু সাঈদ।
আবু সাঈদের সাথে আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী বাংলা বিভাগের শামসুর রহমান সুমন বলেন, ১১ তারিখ ক্যাম্পাসে মিছিল করার পর ১২ তারিখ ছিলো আবু সাঈদ ভাইয়ের নিবন্ধন লিখিত পরিক্ষা। আমরা ওই দিন সকালে মিটিং করবো তো আবু সাঈদ ভাই বলতেছিলেন আমার জীবনের এইটা প্রথম পরীক্ষা। পরীক্ষা দিবো কিনা? কিছুই পড়িনি আন্দোলনের কারণে। বললাম ভাই পরীক্ষা দিয়ে আসেন আমরা বিকেলে মিটিং করবো। আগের দিনে ১১ তারিখ ছাত্রলীগের চর থাপ্পড় মার খাওয়ার স্ট্রেস নিয়ে ১২ তারিখ পরিক্ষা দিতে যায় সাঈদ ভাই। আজ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু আবু সাঈদ ভাই নাই। আমরা শুধু বীর সাঈদ ভাইকেই হারাইনি, হারিয়েছি মেধাবী শিক্ষার্থীকে।
ইংরেজি বিভাগের সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আবু সাঈদ পড়াশোনায় মনোযোগী ছিল। ওর (আবু সাঈদ) টার্গেট ছিল জীবনে ভালো কিছু করার কিন্তু অধিকার আদায় করতে গিয়ে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছে। আজ বেঁচে থাকলে হয়তো বা ভালো কিছু করত।
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর ব্যবস্থাপনায় অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ২০২৩-এর স্কুল (নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/দাখিল ও তদুর্ধ্ব পর্যায়ের মাদরাসা) ও স্কুল-২ (মাধ্যমিক কারিগরি ও ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট, উচ্চ মাধ্যমিক কারিগরি ও ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট এবং কারিগরি ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট) পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা ১২ জুলাই ২০২৪ এবং কলেজ (কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিকোত্তর/উচ্চ মাধ্যমিক কারিগরি/ভোকেশনাল/ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/ইন্সটিটিউট এবং আলিম ও তদুর্ধ্ব পর্যায়ের মাদরাসা) পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৮০ জন। এর মধ্যে স্কুল ও সমপর্যায়ের ৫৫ হাজার ৮৯০ জন, স্কুল-২ পর্যায়ের ৫ হাজার ৩২৩ জন এবং কলেজ ও সমপর্যায়ের ২২ হাজার ৬৫২ জনসহ সর্বমোট ৮৩ হাজার ৮৬৫ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সম্পর্কে আইনজীবী জেড আই খান পান্নার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান সম্পর্কে আইনজীবী জেড আই খান পান্নার অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। জেড আই খান পান্না ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অতীত ইতিহাস’ জানার দাবি করে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা নির্জলা ও সর্বৈব অসত্য, বিদ্বেষপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
প্রকৃতপক্ষে, উপাচার্য জীবনের কোন পর্যায়ে কোন ধরনের রাজনৈতিক দলীয় সংগঠনের সঙ্গে কখনও সম্পৃক্ত ছিলেন না উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভবিষ্যতেও তার কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ নেই। ইতোপূর্বে সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত একাধিক বক্তব্যে উপাচার্য তার এ অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন পুরো সময় তিনি অনাবাসিক ছাত্র ছিলেন। আইনজীবী পান্না কিংবা তার বর্ণিত কথিত ঘটনার সঙ্গে উপাচার্যের কোন দূরতম সম্পর্কও নেই। তার এ ধরনের বক্তব্য উপাচার্যের সম্মান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে।
এ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপাচার্য সম্পর্কে প্রদত্ত অসত্য ও বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যকে ঘিরে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসন হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে চূড়ান্ত ভর্তি শেষে ৭৭টি আসন ফাঁকা রয়েছে। আগামী ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্লাস শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
ভর্তির টেকনিক্যাল কমিটি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তথ্যমতে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ছয়টি অনুষদের অধীন ২৫টি বিভাগে মোট আসনসংখ্যা ১ হাজার ৫৭০। চূড়ান্ত ভর্তি শেষে ক ইউনিট তথা বিজ্ঞান বিভাগে ৩৭ টি, খ ইউনিট তথা মানবিক শাখায় ২০ টি এবং গ ইউনিটে ২০ টি আসন ফাঁকা আছে।
উল্লেখ্য, এবছর গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করেছিলো মোট ১৬ হাজার ৪০৯ জন শিক্ষার্থী।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরী অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। এক পত্রের মাধ্যমে উপাচার্যের কাছে চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) উপাচার্য বরাবর এক পত্রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার উল্লেখ্য করেন, ‘রেজিস্ট্রার পদে আমার চুক্তিভিত্তিক চাকরির মেয়াদ আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়ে যাবে। বর্তমানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি ১৪ অক্টোবর থেকে রেজিস্ট্রার পদের দায়িত্ব হতে পদত্যাগ/অব্যাহতি গ্রহণ করলাম। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে যে সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি, সে জন্য সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
পত্রে তিনি চুক্তিভিত্তিক চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলীকে সবিনয় অনুরোধ করেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম।
এর আগে, বেরোবির নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলীর কাছে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরীকে অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।