বিআরইউডিএফের স্বাধীন বাংলা বিতর্ক উৎসবের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত

  • বেরোবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) বিতার্কিকদের সংগঠন বেগম রোকেয়া ইউনিভার্সিটি ডিবেট ফোরামের (বিআরইউডিএফ) আয়োজনে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের 'স্বাধীন বাংলা' বিতর্ক উৎসবের ফাইনাল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে রংপুরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

বিজ্ঞাপন

প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ মাজেদুল হক, লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক নিয়াজ মাখদুম, বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. খাইরুল ইসলাম পলাশ, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের প্রভাষক রাকিবুল ইসলাম ভূইয়া, বেগম রোকেয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম দুলাল এবং কারমাইকেল কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আশরাউল হক। এছাড়াও ক্লাবের সাবেক ও বর্তমান সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিতর্ক প্রতিযোগিতা চূড়ান্ত পর্বে আন্তঃবিভাগের ফাইনালে ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় লোক প্রশাসন বিভাগ। আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতায় আরসিসিআই কলেজকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুর সরকারি কলেজ। আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুরের পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে বিজয়ী দল ও রানারআপ দলের বিতার্কিকদের মাঝে পুরস্কার এবং সনদপত্র (সার্টিফিকেট) তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। বিজয়ী দলের জন্য বিশেষ ট্রফি এবং সার্টিফিকেটের পাশাপাশি অংশগ্রহণকারী দলের জন্যও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

বিতার্কিকদের অভিনন্দন জানিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শওকাত আলী বলেন, অক্টোবরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাতিঘর এই বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হতে পারে এই বিতর্ক সংগঠনের আয়োজন। এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ ধরনের আয়োজন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আমরা এর জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। বিআরইউডিএফ-এর সবার জন্য শুভকামনা।

বিআরইউডিএফ-এর বিদায়ী সভাপতি ইসরাত জাহান টুম্পা বলেন, প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও বিজিত স্কুল কলেজসহ অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিষ্ঠানকে অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা। বিআরইউডিএফ এর এরকম আয়োজন অব্যাহত থাকবে। নতুন কমিটির হাত ধরে এগিয়ে যাবে বিআরইউডিএফ। এই ক্লাবের সাথে দীর্ঘ ৫ বছরের পথচলা আমার। আজ সাবেক হওয়ার মুহুর্তে আমার জন্য স্বস্তির বিষয় এটাই যে খুবই এক্টিভ একটি কমিটির হাতে বিআরইউডিএফ এর দ্বায়িত্ব হস্তান্তর করে দিচ্ছি। নতুন কমিটির জন্য শুভকামনা।