আবহাওয়াজনিত সর্দি-জ্বরের প্রকোপ কুবিতে, সতর্ক থাকার পরামর্শ

  • কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক

নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঋতু পরিবর্তনের সাথে বেড়েছে জ্বর-সর্দি-কাশি। সেই সাথে বেড়েছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ৷ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) অঞ্চলে আবহাওয়া পরিবেশগত কারণে স্বভাবতই বেশি ঠান্ডা হওয়ায় এখানকার আবাসিক শিক্ষার্থী এবং এ অঞ্চলের মানুষের মাঝে এমন সংক্রমণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷

তবে কুবি মেডিকেল সেন্টারের চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান খান বলছেন, কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলেই দূরে থাকা যাবে এসব রোগ থেকে৷ পাশাপাশি দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্যও তিনি শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

ঋতু পরিবর্তনের কারণে হওয়া জ্বর-সর্দি-কাশির সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে বিনামূল্যে ঔষধ দিয়ে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার।

মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা যায়, নভেম্বর মাসে প্রায় ১১০০ এরও অধিকবার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঔষধ সরবরাহ করেছে তারা৷

বিজ্ঞাপন

চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান খান জানান, ‘আমাদের কাছে গড়ে ২০ জনের বেশি শিক্ষার্থী পুরো মাসেই এসেছে সর্দি-কাশি ও জ্বরের সমস্যা নিয়ে। কোনোদিন এর বেশিও ছিল। তবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তও বেশ কয়েকজন ছিল।’

শিক্ষার্থীদের সতর্কতা অবলম্বনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঋতু পরিবর্তনের কারণে দেখা যাচ্ছে এখন রাতে ঠান্ডা, দিনে গরম। অত্যধিক ঠান্ডা থেকে সাবধানে থাকা, ধূলাবালি ও অধিক জনসমাগম এড়িয়ে চলা উচিত৷ এমন স্থানে গেলে মাস্ক পড়া উচিত। এমন সময়ে খেয়াল রাখতে হবে কুয়াশার কারণে পানি জমে যাতে মশা বংশবিস্তার না করতে পারে।’

এ সময় খাবার ও ঔষধ গ্রহণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঠান্ডার সমস্যা হলে আমরা প্রাথমিকভাবে প্রাকৃতিক ব্যবস্থাপত্র ও খাবার যেমন- তুলসী পাতা, মধু নিতে বলি। পাশাপাশি শীতকালীন শাক-সবজি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে৷ মানুষের নিজের ইমিউনিটি সিস্টেমকে দিয়েই রোগপ্রতিরোধের ধারণা থেকে আমরা এ কাজগুলো করতে বলি৷ শুরুতেই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার পক্ষপাতী না আমি।'