‘মাটির স্বাস্থ্যের সাথে এসডিজি সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে’

  • বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাকৃবিতে ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২৪’ পালিত হয়েছে।

বাকৃবিতে ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২৪’ পালিত হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) উৎসবমুখর পরিবেশে ১০তম ‘বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস-২০২৪’ পালিত হয়েছে। এবারের মৃত্তিকা দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘মাটির যত্ন নেওয়া: পরিমাপ, মনিটর, পরিচালনা’। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দিবসটি উপলক্ষে একটি র‌্যালি ও সেমিনারের আয়োজন করে বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, মাটির যত্ন নেয়া মাটির স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মাটির স্বাস্থ্যের সাথে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা আরও বলেন, ‘৯৫ শতাংশ খাবার মাটি থেকেই উৎপন্ন হয় বিধায় ক্ষুধা দূরীকরণে ও ২০৩০ সালের মধ্যে ভূমি অবক্ষয় নিরপেক্ষতা অর্জনের জন্য মাটির স্বাস্থ্যের ভূমিকা রয়েছে।’

এসডিজি ও মাটির স্বাস্থ্য সম্পর্কে বক্তারা বলেন, লক্ষ্যমাত্রা ২, ৩, ১৩ ও ১৫ পূরণে মাটির যথাযথ ভূমিকা রয়েছে। তাই নিরাপদ ও পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাদ্য উৎপাদন এবং মানব স্বাস্থ্যের সাথে মাটির গভীর একটি সম্পর্ক রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সকাল ১০টায় দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন থেকে র‌্যালিটি বের হয়। র‍্যালিতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে অংশগ্রহণ করেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও জব্বারের মোড় প্রদক্ষিণ করে কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে গিয়ে শেষ হয়। পরে ওই সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস ওপর একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরীয়া।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি এম মুজিবুর রহমান ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক।

ডিন অধ্যাপক জি এম মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে অন্যান্য দেশের তুলনায় ফসল উৎপাদনের জন্য সার ব্যবহারের প্রবণতা বেশি। মৃত্তিকা দিবসের প্রতিপাদ্য শুধু শুনলেই হবে না সুস্থ ও ভালো মাটি তৈরিতে এগিয়ে আসতে হবে। মাটি নিয়ে যারা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন তাদের জন্য এটি চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয়।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম-১।