বেনামী চিঠিতে প্রশ্ন ফাঁসের তথ্য, চবি সাংবাদিকতা বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত

  • চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে এমন বেনামী একটি চিঠির সূত্র ধরে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিন ওই বিভাগের ৪১৯ নম্বর কোর্সের পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো। এটিই ছিল এই বর্ষের শেষ পরীক্ষা।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে একটি উড়োচিঠি আসে। এই চিঠিতে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের সব কোর্সের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিভাগে আসেন উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পরীক্ষা স্থগিতের সুপারিশ করেন উপাচার্য।

চিঠিতে বলা হয়, একজন শিক্ষক তাঁর অনুগত শিক্ষার্থীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁস করছেন। এতে আজ অনুষ্ঠিতব্য প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

পরে এই প্রশ্নপত্র নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আলাউদ্দিন মজুমদার ও ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে আসেন। পরে আজকের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে গতকাল চিঠিতে দেওয়া প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পান। এরপর উপাচার্য পরীক্ষা স্থগিত করার আদেশ দেন।

জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এনায়েত উল্যা পাটওয়ারী বলেন, ‘চিঠিতে কারও নাম ছিল না। যেহেতু অভিযোগ ছিল, তাই তাঁরা সত্যতা নিশ্চিত করার জন্য বিভাগে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে প্রশ্নপত্রের সঙ্গে অভিযোগে দেওয়া প্রশ্নপত্রের শতভাগ মিল পান। পরে পরীক্ষা কমিটি এই পরীক্ষা স্থগিত করে।’

এ ব্যাপারে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আমরা জরুরী সিন্ডিকেট ডেকেছি। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিভাগের সভাপতি রওশন আক্তার বলেন, পরীক্ষা কমিটি সুপারিশ করেছে পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য। আমরা জরুরী একাডেমিক কমিটি করে পরীক্ষাটি স্থগিত করে দিয়েছি। পরবর্তী কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবেন।