পায়ে হেঁটে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পৌঁছালো ঢাবি স্কাউট গ্রুপের ৪ শিক্ষার্থী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের ৪ জনের একটি টীম ১৫০ কিমি পায়ে হেঁটে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের পৌঁছেছে। "প্রেসিডেন্ট'স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড" অর্জনের লক্ষ্যে ৫ দিনে পায়ে হেঁটে পরিভ্রমণ করে তারা। রোভারিংয়ের সর্বোচ্চ সম্মান এই অ্যাওয়ার্ড অর্জনের একটি ধাপ হলো "পরিভ্রমণকারী ব্যাজ"। এটি অর্জনের জন্য রোভারদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পায়ে হেঁটে ১৫০ কিমি, বা সাইকেলযোগে ৫০০ কিমি, অথবা নৌকাযোগে ২৫০ কিমি ভ্রমণ করতে হয়।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট দলের চার সদস্য আহসান উল্লাহ (টীম লিডার), সারতাজ সাহাদৎ, জয়নাল আবেদীন, এবং শাহজাহান সম্রাট কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এর মাধ্যমে পরিভ্রমণ শেষ করেন।
১৩ ডিসেম্বর পরিভ্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমদিন চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ৩৪ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে সরকারি গাছবাড়িয়া কলেজে পৌঁছেন তারা। দ্বিতীয় দিন সরকারি গাছবাড়িয়া কলেজ, চন্দনাইশ থেকে ২৮ কিলোমিটার অতিক্রম করে লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদে পৌঁছে, তৃতীয় দিন লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ থেকে ৩১ কিলোমিটার হেঁটে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ এবং চতুর্থ দিন চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ থেকে ২৮ কিলোমিটার ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদে পৌঁছেন তারা। সর্বশেষ পঞ্চম দিন ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদ থেকে ৩০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে চূড়ান্ত গন্তব্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছে।
প্রথিমধ্যে তারা সরকারি দফতরগুলোতে দফতর প্রধানদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং জনসচেতনতায় সমসাময়িক ইস্যু, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করেন।
টিম লিডার আহসান উল্লাহ বলেন, স্কাউটিংয়ের সবচেয়ে অ্যাডভেঞ্চারাস ও এক্সাসাইটিং অংশ এই পরিভ্রমণ। আমরা সাধারণত, পাহাড়ি এলাকা, ঐতিহাসিক স্থান, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর এলাকাকেই বেছে নিই। পরিভ্রমণের মাধ্যমে আমরা তাঁদের জীবনাচার সম্পর্কে ধারণা অর্জন করি। এবার আমি আমার জন্মভূমি মাটি ও মানুষের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জীবনাচার সম্পর্কে জানতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রোডটি বেঁছে নিয়েছি। এর মাধ্যমের আমরা আমাদের অভিষ্ট্য লক্ষ্য রোভারিংয়ের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে আমরা মাটি ও মানুষের গর্বিত করতে পারবো বলে আশাকরি।
উল্লেখ্য, আহসান উল্লাহ কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা এবং জয়নাল আবেদীন টেকনাফ উপজেলার কৃতি সন্তান।