শিল্প সম্পর্কের সমন্বয় সাধনে ত্রিপক্ষীয় ঘোষণার প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ত্রিপক্ষীয় ঘোষণার প্রতিশ্রুতি/ছবি: সংগৃহীত

ত্রিপক্ষীয় ঘোষণার প্রতিশ্রুতি/ছবি: সংগৃহীত

শিল্পখাতের কর্মক্ষেত্রে স্থিতিশীল এবং ন্যায়সঙ্গত সম্পর্ক গড়ে তোলার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে, বাংলাদেশ সরকার, মালিক সংগঠন বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন এবং শ্রমিক সংগঠন ন্যাশনাল কোঅর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশন (NCCWE) যৌথভাবে একটি 'উন্নত এবং সমন্বয়পূর্ণ জাতীয় শিল্প সম্পর্ক' বিষয়ে একটি ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ।

রোববার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

এতে দেশের শিল্পখাত এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রধান এই ত্রিপক্ষীয় অংশীদাররা সামাজিক ন্যায়বিচারে সুদৃঢ় ভিতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি শিল্প সম্পর্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এই ব্যবস্থার লক্ষ্য হলো শ্রমিক এবং মালিকদের মধ্যে সমন্বয়পূর্ণ সম্পর্ক বাস্তবায়নের পাশাপাশি একটি স্থিতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করা- যা টেকসই এবং ঘাতসহনশীল অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বিভিন্ন সেক্টরজুড়ে চলমান শিল্প অস্থিরতা, যেখানে শ্রমিকরা বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানাতে রাস্তায় নেমেছে এবং বর্ধিত সময়ের জন্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত করেছে, সেই সময়কালে এই ঘোষণাটি এসেছে।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের বিভিন্ন সেক্টরজুড়ে কিছুদিন যাবৎ পরিলক্ষিত শিল্প অস্থিরতাপরবর্তী এই ঘোষণাটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো তুলে ধরে বলা হয়েছে, দেশের অধিকাংশ শ্রমিক সুষ্ঠু শিল্প সম্পর্ককে সমর্থন করলেও, কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী, নিজেদের শ্রমিক পরিচয় দিয়ে, সংলাপ এবং আলোচনাকে উপেক্ষা করে সহিংসতা এবং শারীরিক আক্রমণের আশ্রয় নিয়ে এই খাতকে অস্থিতিশীল করে তুলছে। সরকার এবং সামাজিক অংশীদারদের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বারবার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এটি ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করেছে।

অনুষ্ঠানে আইএলও-র গভর্নেন্স, রাইটস এবং ডায়লগের সহকারী মহাপরিচালক ম্যানুয়েলা টোমেই বলেন, উন্নত কর্মসংস্থানের শর্তসমূহ, উন্নত কর্ম পরিবেশ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পথ প্রশস্ত করে অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক আলাপের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা শিল্প সম্পর্ক। এটি একটি স্থিতিশীল ব্যবসায়িক পরিবেশের জন্য অপরিহার্য।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের ভিত্তিতে এই ধরনের ব্যবস্থা সর্বোত্তমভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যার মূল স্তম্ভ হচ্ছে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা, সমষ্টিগত আলোচনার অধিকার এবং নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ সরকার তার সামাজিক অংশীদারদের সাথে সহযোগিতায় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক কমিটিগুলির সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। এটি আন্তর্জাতিক শ্রম মান, বিশেষ করে, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ কনভেনশন (আইএলএস), ১৯৭৬ (নং ১৪৪) এবং সমস্ত স্তরে সামাজিক সংলাপের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।

বিইএফ সভাপতি আর্দাশির কবির সামাজিক সংলাপ প্রচারে মালিকদের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, 'বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন ত্রিপক্ষীয়তার বিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে নিবেদিত এবং কালেকটিভ বার্গেইনিং প্রক্রিয়া প্রচারে সরকারি প্রচেষ্টাকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করবে।