ডলারের দামে অস্থিরতার কারণ জানা‌ল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ছয় কারণে দেশে ডলারের বাজার অস্থির হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এ তথ‌্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, ডিসেম্বর বছরের শেষ মাস। এ কারণে নানাবিধ ঋণ পরিশোধের ভ্যালু ডেট (পেমেন্ট শিডিউল) এই মাসেই বিধায় বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে ডলারের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আইএমএফের লক্ষ্যপূরণ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক সাম্প্রতিক সময়ে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে, যা আন্তঃব্যাংক ও বাজারে ডলারের যোগান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখেনি।

হুসনে আরা শিখা জানান, বাংলাদেশের রেটিং অবনমনের কারণে বিদেশি ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর করেসপন্ডেন্ট রিলেশনশিপ বাধাগ্রস্ত হয়েছে, ফলে ইউপাস এলসি খোলা (আমদানিকৃত পণ্যের পাওনা পরিশোধে সময় থাকে ২৭০ দিন) বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। পেমেন্টের ম্যাচুরিটি ডেফার্ড করা সম্ভব হয়নি ও অফশোর ব্যাংকিং ঋণের আন্তঃপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বৈদেশিক দেনা পরিশোধ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার বাজারে চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। রেমিট্যান্স আহরণে অ্যাগ্রিগেটরদের একচেটিয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ভূমিকা বাজারে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারকে অস্থিতিশীল করেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ইনফ্লো-আউটফ্লো মিস ম্যাচের কারণেও ডলার বাজারে অস্থিতিশীলতা পরিলক্ষিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, বৈদেশিক মুদ্রা বাজার অস্থিরতা রোধ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে রেমিট্যান্স আহরণের বিনিময় হার প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১২৩ টাকা (ক্রস কারেন্সি হলে তা ক্রস ক্যালকুলেশন করে প্রতি ডলার ১২৩ টাকা, এর ঊর্ধ্বে হবে না) নির্ধারণ করেছে। এছাড়া ড্যাশবোর্ড, ডাটা মনিটরিং ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।