শাকিব খান ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার। অন্যদিকে জিৎ হলেন পশ্চিমবঙ্গের সুপারস্টার। দীর্ঘ ৭ বছর পর আবার এই দুই তারকা নিজেদের সিনেমা নিয়ে মুখোমুখি হচ্ছেন।
আসন্ন রোজার ঈদে মেহেদী হাসান হৃদয়ের পরিচালনায় ‘বরবাদ’ নিয়ে আসছেন শাকিব। আর জিৎ আসছেন রায়হান রাফী পরিচালত ‘লায়ন’ নিয়ে। সিনেমা দুটির শুটিং এখনো শুরু হয়নি। এর মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল আলোচনা। দর্শকরা বলছে, আসন্ন ঈদে বরবাদ-লায়নের কঠিন লড়াই হবে!
বিজ্ঞাপন
২০১৬ সালের ঈদে শিকারী ও বাদশা সিনেমা দুটি দিয়ে প্রথম মুখোমুখি হয়েছিলেন শাকিব ও জিৎ। ‘শিকারী’ দিয়ে শাকিব বাজিমাৎ করলেও পিছিয়ে ছিলেন না জিৎ। ২০১৮ সালের ঈদে ‘ভাইজান এলো রে’ ও ‘সুলতান’ দিয়ে আবার মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা।
সেবার ‘সুলতান’ দিয়ে জিৎ ব্যর্থ হলেও শাকিব কিছুটা এগিয়ে ছিলেন। ৭ বছর আবার এই দুই তারকা সিনেমা দিয়ে প্রতিযোগিতা করতে যাচ্ছেন। পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয় বলেন, অন্যরকম এক অ্যাকশন সিনেমা হবে বরবাদ। সবকিছু ঠিক থাকলে আমরা ঈদে আসবো।
বরবাদে শাকিবের নায়িকা ইধিকা পাল থাকবেন কিন্তু লায়নে জিতের নায়িকা কে হবে সেটির ঘোষণা দেননি পরিচালক রাফী। তিনি বলেন, নায়িকা বাংলাদেশ থেকে কেউ থাকবেন। সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।
প্রিয়তমা ও তুফানের সাফল্যে শাকিবের সময়টা একাদশে বৃহস্পতি হলেও একের পর এক ফ্লপ দিয়ে জিতের সময় কিছুটা খারাপ যাচ্ছে।
‘গহীন বালুচর’ সিনেমা দিয়ে শোবিজে পা রাখেন আবু হুরায়রা তানভীর। প্রথম ছবিতেই সাবলিল অভিনয় দিয়ে দর্শকের মনে জায়গা করে নেন। বিশেষ করে ছবির দুই নায়িকার সঙ্গে তার রোমান্টিক দৃশ্যগুলো সে সময় আলোচনার জন্ম দেয়। ফলে এই তরুণ অভিনেতার নারী ভক্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে।
এজন্যই হয়তো নিজের বিয়ের খবর সেভাবে সামনে আনেননি তানভীর। তিনি হয়তো চাননি নারী ভক্তদের হৃদয় ভেঙে যাক! তবে তার বিয়ের খবর আশেপাশের কারও কাছে কখনো লুকাননি। এমনকি ব্যক্তিজীবনের বিশেষ দিনগুলোতে প্রিয়তমা স্ত্রীর সঙ্গে ছবিও প্রকাশ করে থাকেন ফেসবুকে।
এই যেমন আজ, নিজেদের বিবাহবার্ষিকীর মতো স্পেশ্যাল দিনটিতে এই অভিনেতা পোস্ট করেছেন স্ত্রীর সঙ্গে বেশকিছু রোমান্টিক ছবি। তা দেখে বোঝায় যায়, তানভীর শুধু পর্দায় নয় বাস্তবেও বেশ রোমান্টিক ছেলে।
বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্পেশ্যাল ফটোশুট করেছেন তারা। সেই ছবিগুলো পোস্ট করে তানভীর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘শুভ বিবাহবার্ষিকী ভালোবাসা... সমস্ত উত্থান-পতনের প্রতি কৃতজ্ঞতা যার মাধ্যমে আমরা আজকের অবস্থানে এসে পৌঁছেছি। প্রতিটি বছর তোমার সাথে আশীর্বাদ নিয়ে আসুক। চিয়ার্স!’
প্রসঙ্গত, তানভীর বড়পর্দার মাধ্যমে অভিনয়ে এলেও বর্তমানে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন নাটক ও ওটিটিতে সমানতালে কাজ করছেন। সম্প্রতি তার অভিনীত ‘এক মিনিট’ নাটকটি সাড়া ফেলেছে। এ বছর মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত সিনেমা ‘ওমর’।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী তমা মির্জা গতকাল রোববার রাতে ফেসবুকে একটি স্টোরি দিয়েছেন এই সুন্দরী। সেখানে তমা মির্জা লিখেছেন- যে চিটার, সে সবসময়ই চিটার।
সবসময় মাথায় রাখা উচিত, এমনটা উল্লেখ করে ‘সুড়ঙ্গ’খ্যাত এই চিত্রনায়িকা লিখেছেন, ‘একবার যে প্রতারণা করে, সে সবসময়ই প্রতারণা করে। একবার যে মিথ্যা বলে, সে সবসময়ই মিথ্যা বলে।’
এ সময় তমা মির্জা স্মরণ করিয়ে দেন, ‘যদি কেউ তোমার হৃদয় ও বিশ্বাস ভাঙে সেটা তার ভুল। কিন্তু তুমি যদি সেই ব্যক্তিকে বিশ্বাস করে আবারও জায়গা দেও এবং ভালোবাসো তাহলে সেটা হবে তোমার ভুল।’
সম্প্রতি শোবিজ অঙ্গনে গুঞ্জন উঠেছে, পরিচালক রায়হান রাফীর সঙ্গে তমার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। রাফীর এক মন্তব্যের পর বিষয়টি পরিষ্কার। পরিচালককে উদ্দেশ্য করেই কী তমার এই পোস্ট তা স্পষ্ট নয়।
একসঙ্গে কাজের সূত্র ধরেই তমা-রাফীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা একসঙ্গে একাধিক সফল প্রজেক্টে কাজও করেছেন।
বিশ্বখ্যাত টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ফুলের সৌরভ ছড়িয়ে এবার দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে লাল-সবুজের পতাকা এঁকে দিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় সবুজ শাড়িতে মেহজাবীন যেন এক খণ্ড বাংলাদেশ!
মাকসুদ হোসেন পরিচালিত এবং মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত ‘সাবা’ এখন ২৯তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ‘অ্যা উইন্ডো অন এশিয়ান সিনেমা’ বিভাগে প্রদর্শিত হচ্ছে।
গত ৪ অক্টোবর স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে সিজিভি সেন্টাম সিটি থ্রি’তে ‘সাবা’র প্রদর্শনী হয়েছে। এরপর আজ (৬ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট) লট্টে সিনেমা সেন্টাম সিটি সেভেনে আবারও দেখানো হয় ছবিটি। সেখানেও মিলেছে মুহুর্মুহু করতালি। উপস্থিত দর্শকদের সামনে এদিন ছবিটি সম্পর্কে নির্মাতা-অভিনেত্রী কথা বলেছেন প্রাণখুলে।
বুসানে অংশ নিয়ে মেহজাবীন চৌধুরী কতোটা মুগ্ধ, সেটির প্রতিচ্ছবি মিলেছে তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলের মাধ্যমে। মিস চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সিনেমা এখানে প্রদর্শন করতে পারা অনেক বড় সম্মানের বিষয়। ছবিটি দেখে এখানকার মানুষের প্রতিক্রিয়ায় আমি মুগ্ধ।’
২০২২ সালে বুসানের এশিয়ান প্রজেক্ট মার্কেটে স্থান পায় ‘সাবা’। ৪৯তম টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ডিসকোভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয় ছবিটি। টরন্টোর স্কটিয়াব্যাংকে গত ৭ সেপ্টেম্বর এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়। এর আগেই সাংবাদিকদের জন্য ছিল একটি প্রদর্শনী। একই ভেন্যুতে ৯ সেপ্টেম্বর ও ১৪ সেপ্টেম্বর এই সিনেমার আরও দুটি টিকিট প্রদর্শনী হয়েছে। সবকটি’তে অংশ নিয়েছেন মেহজাবীন, ছবিটির অভিনেতা মোস্তফা মন্ওয়ার ও পরিচালক মাকসুদ হোসেন।
‘সাবা’য় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। সিনেমাটির সহ-প্রযোজক তিনি। ১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের গল্পটিতে দেখা যায়, ২৫ বছর বয়সী সাবা ঢাকায় মাকে নিয়ে থাকে। তার মা শিরিন একটি দুর্ঘটনার পর শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। সংসারের হাল ধরতে চাকরি করে সাবা। এদিকে শিরিন হার্ট অ্যাটাক করলে তার চিকিৎসার ব্যয় মেটানো সাবার জন্য দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। মায়ের অস্ত্রোপচারের জন্য টাকা কীভাবে জোগাড় করবে সেসব ভেবে দিশেহারা হয়ে যায় সাবা। এরমধ্যে মেয়েটির জীবনে আশার আলো হয়ে আসে অঙ্কুর।
বলা দরকার, পরিচালক মাকসুদ হোসেনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ফিল্ম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে বাংলাদেশে স্থায়ী হন তিনি। ১৫টি শর্টফিল্ম ও দুই শতাধিক বিজ্ঞাপনচিত্র বানিয়ে হাত পাকিয়েছেন এই নির্মাতা। এছাড়া টেলিফিল্ম ‘৭২ ঘণ্টা’ পরিচালনা ও প্রযোজনা করেন তিনি।
এদিকে ২ অক্টোবর শুরু হয়েছে ২৯তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। চলবে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত।
এবারের আসরে ‘অ্যা উইন্ডো অন এশিয়ান সিনেমা’ বিভাগে ৭৭তম কান উৎসবের অফিসিয়াল সিলেকশনে থাকা আলোচিত কয়েকটি চলচ্চিত্র রয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম হলো গ্রাঁ প্রিঁ জয়ী ভারতের পায়েল কাপাডিয়া পরিচালিত ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’, আঁ সাঁর্তে রিগা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র হওয়া গুয়ান হু পরিচালিত ‘ব্ল্যাক ডগ’, আঁ সাঁর্তে রিগা বিভাগে নির্বাচিত যুক্তরাজ্যের সন্ধ্যা সুরি পরিচালিত ‘সন্তোষ’ ও ভিয়েতনামের চোং মিন কুই পরিচালিত ‘ভিয়েত অ্যান্ড নাম’, ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে ফিপরেসি অ্যাওয়ার্ড জয়ী জাপানের ইয়ামানাকা ইয়োকোর ‘ডেজার্ট অব নামিবিয়া’, ক্রিটিকস’ উইকে ফ্রেঞ্চ টাচ প্রাইজ অব দ্য জুরি জয়ী যুক্তরাষ্ট্রের কনস্ট্যান্স সাং পরিচালিত ‘ব্লু সান প্যালেস’, এসিআইডি বিভাগে নির্বাচিত ভারতের মায়সাম আলির ‘ইন রিট্রিট’, ক্যামেরা দ’র পুরস্কারে স্পেশাল মেনশন স্বীকৃতি পাওয়া তাইওয়ানের চিয়াং ওয়ে লিয়াং পরিচালিত ‘মনগ্রেল’।
‘অ্যা উইন্ডো অন এশিয়ান সিনেমা’ বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দুই উৎসব বার্লিন ও ভেনিসের চলচ্চিত্র রয়েছে। এগুলো হলো ভেনিস হরাইজন্স এক্সট্রা অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড জয়ী ইরানের নাদের সাইভার পরিচালিত ‘দ্য উইটনেস’ ও হরাইজন্স বিভাগে নির্বাচিত নেপালের দীপক রাউনিয়ার পরিচালিত ‘পূজা, স্যার’, বার্লিন উৎসবে মূল প্রতিযোগিতারর ফিপরেসি প্রাইজ জয়ী ইরানের মরিয়ম মোগাদ্দাম ও বেহতাশ সানায়িহা ‘মাই ফেভারিট কেক’।
মহালয়ার মাধ্যমে দেবী দূর্গাকে ধরণীতে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আগামী ৯ অক্টোবর মহা ষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হবে দূর্গাপূজার মূল আয়োজন। তবে এরইমধ্যে বাতাছে ভাসছে পুজো পুজো গন্ধ। তাইতো জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা সেজে উঠেছেন পূজার সাজে। পূজা উপলক্ষ্যে আসছে নতুন গানও। এসব নিয়েই বার্তা২৪.কমের ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন এই তারকা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ
মাসিদ রণ: বার্তা২৪.কমের জন্য পূজা স্পেশ্যাল ফটোশুটের অভিজ্ঞতা কেমন?
বাঁধন সরকার পূজা: আমি এতোদিনে অনেক পূজার ফটোশুট করেছি। কিন্তু সেগুলো একই ধাচের ছিলো। সাদা শাড়ি লাল পাড় আর ভারী গয়না, যেটা সবখানে দেখা যায় আর কী। কিন্তু এবার বার্তা২৪.কমের পূজার ফটোশুটটা সত্যি স্পেশ্যাল হয়েছে। কারণ এটা একেবারেই বৈচিত্র্যময়। আমাদের থিম ‘শকুন্তলা দেবী’। ঐতিহাসিক এই চরিত্রটি যেমন ফুল দিয়ে নিজেকে সাজিয়ে তুলতেন আমরাও সেটা চেষ্টা করেছি। তবে আমারা ট্রেডিশনাল শাড়ি না পরে একটা ফিউশন সাদা জর্জেট শাড়ি বেছে নিয়েছি। ট্রেন্ড মার্ট নামের অনলাইন পেজ এটি ডিজাইন করেছে। পূজার সাদা লাল আমেজটাকে ফুটিয়ে তুলতে গয়নায় সাদা আর লালের ছোঁয়া রেখেছি। আমি আশা করছি এবারের পূজায় আমাদের শুটটি অন্য সবার থেকে আলাদা হয়েছে। এভাবেও যে পূজার লুক ক্রিয়েট করা যায় সেটা আমাদের ছবি দেখলে সবাই বুঝবে বলে আমার বিশ্বাস। আমার শুটের এই সুন্দর ছবিগুলো এবং ভিডিও ইন্টারভিউ দেখতে চোখ রাখুন বার্তা২৪-এর ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে।
মাসিদ রণ: পূজায় নতুন গানও আসছে। সেটি নিয়ে জানতে চাই...
বাঁধন সরকার পূজা: দেশের বড় বড় উৎসবে আমি নতুন গান প্রকাশ করি ভক্ত শ্রোতাদের জন্য। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বন্যা দুর্যোগের জন্য ভেবেছিলাম এবার পূজায় হয়তো নতুন গান আসবে না। কিন্তু আমার সৌভাগ্য যে এবারও নতুন গান দিতে পারছি শ্রোতাদের। আগামীকাল ৭ অক্টোবর ‘তুই ছাড়া’ শিরোনামের গানটি প্রকাশিত হবে। এটি মূলত অনন্য মামুন পরিচালিত ‘অমানুষ’ সিনেমার গান। কিন্তু ছবিটি হলে মুক্তি পেলেও গানটি অনলাইনে প্রকাশিত হয়নি এতোদিন। এবার আসছে ঈগল মিউজিকের ব্যানারে। গানটি লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন, সুর ও সঙ্গীত করেছেন শাহরিয়ার মার্শেল।
মাসিদ রণ: ছোটবেলার পূজা কেমন ছিলো?
বাঁধন সরকার পূজা: ছোটবেলায় আসলে মন খুলে ঘুরতে পারতাম সব জায়গায়, যা ইচ্ছা করতে পারতাম। পূজার ছুটিতে পড়াশুনা এক পাশে রেখে শুধু আনন্দ আড্ডায় মেতে উঠতে পারতাম। এই জিনিসগুলো এখন মিস করি। কারণ, এখন অনেকেই আমাকে চেনেন আমার গানের জন্য। তাই কোথাও গেলে আমাকে আলাদাভাবে নোটিশ করেন, অনেক সময় ভীড়ও লেগে যায়। তাই নিজের ইমেজের কথা চিন্তা করে এখন আর চাইলেই সব জায়গায় যেতে পারি না। দেখা যায়, কোন পূজা মণ্ডপে গেলে একটা জায়গায় বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না। মানুষ চলে আসে কথা বলতে কিংবা ছবি তুলতে। আমি ভক্তদের এসব আবদার খুব পছন্দ করি। এটা তাদের ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু পাবলিক প্লেসে আমার জন্য ভীড় হয়ে গেলে সেই দায় তো আমাকেই বহন করতে হয়, তাই না? তবে এখনকার পূজার সবচেয়ে আনন্দের জায়গা হলো অষ্টমী ও নবমীতে আমার কনসার্ট থাকে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে। দর্শক শ্রোতাদের সরাসরি গান শুনিয়ে তাদের পূজার আনন্দ একটু হলেও বাড়িয়ে দিতে পারি। এটা বিষয়টি আমাকে তৃপ্ত করে।
মাসিদ রণ: এখন দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে। এরইমধ্যে একাধিক জেলায় মূর্তী ভাঙার খবর এসেছে। এ নিয়ে আপনি কতোখানি চিন্তিত?
বাঁধন সরকার পূজা: এটা সত্যি কষ্টদায়ক। আমাদের ছোটবেলায় এসব খবর কোনদিন শুনিনি। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় এই একটি পূজাই সবচেয়ে বড় করে ধুমধামের সঙ্গে পালন করে। সেখানে আজীবন দেখে এসেছি, ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-শ্রেণি নির্বিশেষে সকল মানুষ আনন্দ করে, উৎসবে মেতে ওঠে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা দেখছি। দেশ একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনালগ্নে এখন। তাই আমি বেশ আশাবাদী। কারণ, আমার কিছুদিন আগেই ছাত্র আন্দোলনের সময় দেখেছি মাদ্রাসার ছাত্ররাও রাত জেগে আমাদের মন্দির পাহারা দিচ্ছে। সুতরাং আমার চাওয়া থাকবে দেশের এই নতুন শুরুতে এমন একটি উদাহরণ আমাদের দেশের মানুষ তৈরি করুক যা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটি সুন্দর ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বাংলাদেশ দিয়ে যাবে। প্রত্যাশা করি এবার যেন পূজার সময় আর কোন হানাহানি, সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার কেউ না হয়।