আগামী ২ নভেম্বর ৫৮ পার করবেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। আর সে উপলক্ষ্যেই কিং খান এবার বড় এক পার্টির আয়োজন করছেন নিজের বাসা মান্নাতে। শোনা যাচ্ছে শাহরুখ এত বড় এক পার্টি দিতে চলেছেন, যা এর আগে বলিউড দেখেনি। সেখানে অতিথির তালিকাও নাকি বেশ লম্বা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, শাহরুখের এই পার্টিতে আসতে পারেন ২৫০ জন অতিথি। যার মধ্যে রয়েছেন রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, রণবীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোন, করণ জোহর, কাজল, অজয় দেবগণের মতো তারকারা। তবে শুধু দেশের নয়, শোনা যাচ্ছে, বিদেশ থেকেও উড়ে আসতে পারেন বেশ কিছু তারকা। এমনকি, দেশ ও বিদেশের ব্যবসায়ীরাও থাকতে পারেন শাহরুখের এই জমজমাট বার্থডে পার্টিতে।
বিজ্ঞাপন
শাহরুখের এই উনষাটের জন্মদিনে থাকবে বিশেষ থিম। অতিথিদের নাকি সাজতে হবে তার ছবির চরিত্র অনুযায়ী, ইতোমধ্যেই নাকি ডিনারের মেনু ঠিক করে ফেলেছেন শাহরুখের স্ত্রী গৌরী খান। কেননা, এই পার্টির সব কিছু প্ল্যানিং করছেন গৌরী নিজেই। শোনা যাচ্ছে, পার্টিতে থাকবে সুহানা ও আরিয়ানের বিশেষ পারফরম্যান্স।
গুণী অভিনেতা মাসুদ আলী খান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৪টা ২০ মিনেটে রাজধানীর কলাবাগানের নিজ বাসাতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
মাসুদ আলী খানের মৃত্যুর খরর নিশ্চিত করেছেন তার ভাগনের স্ত্রী শারমিনা আহমেদ।
তিনি বলেন, আজ বিকেল চারটা ২০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। আমরা পরবর্তী কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।
১৯৫৬ সালে এ দেশের প্রথম নাটকের দল ড্রামা সার্কেলের সঙ্গে যুক্ত হন মাসুদ আলী খান। সেই থেকে অভিনয়ে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ৫ দশকেরও বেশি সময় টানা অভিনয় করেছেন তিনি।
তার অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে দুই দুয়ারি, দীপু নাম্বার টু, মাটির ময়না। তার অভিনীত আলোচিত কয়েকটি নাটক হচ্ছে কূল নাই কিনার নাই, এইসব দিনরাত্রি, কোথাও কেউ নেই।
মাসুদ আলী খানের জন্ম ১৯২৯ সালে ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে। বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। মাসুদ আলী খান ১৯৫৫ সালে বিয়ে করেন তাহমিনা খানকে। ব্যক্তিজীবনে এই অভিনেতার এক ছেলে ও এক মেয়ে। চাকরিজীবনে সরকারের নানা দফতরে কাজ করেছেন। ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের সচিব হিসেবে চাকরি থেকে অবসর নেন। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে একের পর এক বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাসুদ আলী খান।
ছোট থেকেই কার কার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন, সবার সামনেই র্নিদ্বিধায় বলে ফেলতে পারেন সাইফ কন্যা সারা আলী খান। প্রথম ছবি মুক্তির আগেই জানিয়েছিলেন, অভিনেতা কার্তিক আরিয়ানকে তার পছন্দ। এরপর তার সঙ্গে ছবি করতে গিয়ে প্রেমও করেছিলেন। যদিও শেষে গিয়ে টেকেনি তাদের সম্পর্ক।
এরপর শোনা যায়, সাবেক প্রেমিক বীর পাহাড়িয়ার কাছেই নাকি ফিরে গেছেন সারা। এরপর আবেদনময় ক্রিকেটার শুভমান গিল থেকে শুরু করে আরও একাধিক তরুণের সঙ্গে সারার প্রেমের খবর শোনা গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আবারও এই নায়িকাকে নিয়ে শোনা যাচ্ছে নতুন চর্চা। জানা গেছে, এবার কোনো অভিনেতা নয়, নেতার ছেলের সঙ্গে নাকি প্রেম করছেন সারা!
সম্প্রতি তার কেদারনাথ দর্শনের ছবি নাকি সেই প্রমাণই দিচ্ছে। যার পর থেকেই শুরু হয়েছে চর্চা। প্রতি বছরই কেদারনাথ দর্শন করতে যান সারা। কখনও ভাইয়ের সঙ্গে, কখনও জাহ্নবী কাপুরের সঙ্গেও গিয়েছেন। এবার সারার কেদারনাথ যাত্রার সঙ্গী ছিলেন সেই নেতার ছেলে-এমনটিই চর্চা।
সম্প্রতি কেদারনাথ দর্শনের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন সারা। কিন্তু কার সঙ্গে গেছেন, তার আভাস দেননি। যদিও সামাজিক মাধ্যমে এখন অনেক কিছুই আড়াল করা কঠিন। তাতে একরকম ধরাই পড়েছেন সারা! অভিনেত্রীকে কেদারনাথে পূজা দিতে দেখা গেছে অর্জুন প্রতাপ বাজওয়ার সঙ্গে। আর তা নিয়েই সামাজিক মাধ্যমে নেটিজেনদের চর্চা সারা-অর্জুনের সম্পর্ক নিয়ে।
অর্জুন প্রতাপ পাঞ্জাবের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ফতেহ জং সিংহ বাজওয়ার ছেলে। পাঞ্জাবে বিজেপির সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। যদিও অর্জুন চলচ্চিত্র জগতের লোক। ভারতের অন্যতম নামী মডেলও। একাধিক ব্র্যান্ডের প্রচার দূত হিসেবেও কাজ করেছেন। বলিউড অভিনেত্রীদের সঙ্গেও তার ওঠাবসা।
২০১৮ সালে ‘কেদারনাথ’ ছবি দিয়ে বলিউডে পা রাখেন সারা আলী খান। তার জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে, একইসঙ্গে ঘটছে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা।
‘কেজিএফ’ তারকা যশের পরবর্তী সিনেমা ‘টক্সিক’-এর জন্য মুখিয়ে আছে ভক্তরা। কিন্তু তার আগেই বিতর্কে জড়িয়েছে সিনেমাটি। বিনা অনুমতিতে শতাধিক গাছ কেটে সিনেমাটির শুটিং সেট নির্মাণের অভিযোগ তুলেছেন কর্ণাটকের পরিবেশ মন্ত্রী ঈশ্বর খান্দ্রে।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে মন্ত্রী ঐশ্বর খান্দ্রে বলেন, “বেঙ্গালুরুর পেনিয়া এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কেটে ‘টক্সিক’ সিনেমার সেট নির্মাণ করা হয়েছে। আমি ওই এলাকা ঘুরে এসেছি। সেখান থেকে গাছ কাটতে দেখেছেন, তার অনেক সাক্ষীও আছে। গত বছরও ‘স্যাটেলাইট’ ছবিতে ওই স্থানে অনেক গাছ দেখেছি। কিন্তু এখন ফাঁকা।”
আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে বিবিএমপি-কে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করব। এটি আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। আমরা বেঙ্গালুরুতে আরেকটি লালবাগ পার্ক করব না।’
‘টক্সিক’ সিনেমা পরিচালনা করছেন গীতু মোহনদাস। অভিনয়ের পাশাপাশি ছবিটি প্রযোজনা করছেন যশ নিজেই। তবে এ নিয়ে তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সিনেমাটির প্রোডাকশন হাউজ কেভিএন প্রোডাকশন হাউজের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংবাদমাধ্যমটি। তারা মন্ত্রীর অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, এটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল নয়, ব্যক্তিগত সম্পত্তি। প্রয়োজনীয় আইন মেনেই শুটিং সেট নির্মাণ করা হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার ‘টক্সিক’ সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা আসে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের ১০ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। যশ ছাড়াও ছবিটিতে আরও অভিনয় করছেন নয়নতারা, হুমা কুরেশি সহ আরও অনেকেই। –টাইমস অব ইন্ডিয়া
অভিনয়শিল্পীদের জীবন আট-দশটা মানুষের চেয়ে আলাদা। কারণ তারা এক জীবনে বহু জীবন যাপনের সুযোগ পান। প্রতিটি অভিনীত চরিত্র দিয়ে তারা ভিন্ন ভিন্ন স্বভাবের, পেশার, বয়সের, শ্রেণির, বর্ণের হয়ে ওঠেন।
আর যে শিল্পী সেই চরিত্রগুলো যতো বেশি বাস্তব সম্মতভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারেন তিনিই দর্শকের মনে থেকে যান বহু বছর। তাইতো অভিনয়শিল্পীদের চরিত্র হয়ে উঠতে নানা ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, নানা ধরনের পরিশ্রম করতে হয়। তেমনি একটি নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর।
আর তার সেই ডেডিকেশনের ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়েছে সেই নাটকের একটি ছবিতে। তাতে দেখা যাচ্ছে পাগলের বেশে বসে আছেন সাবিলা। এক দেখাতে চেনার উপায় নেই যে তিনি একজন জনপ্রিয় তারকা। নাটকের নাম ‘দূষিত এ শহরে’। কাজটি গত বছর শুটিং করেছিলেন সাবিলা। প্রচারে আসছে শিগগিরিই। আহমেদ তাওকীরের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন অনন্য ইমন। এতে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী চরিত্রে দেখা যাবে সাবিলা নূরকে।
চরিত্রটি নিজের মধ্যে ধারণ করা প্রসঙ্গে সাবিলা বলেন, ‘একজন অভিনেত্রীর কাছে প্রতিটি চরিত্রই চ্যালেঞ্জের। চরিত্রটি ধারণ করা, বিশ্বাসযোগ্য করা একটু কঠিনই ছিল। গল্পের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চেষ্টা করেছি চরিত্রটি শতভাগ ফুটিয়ে তুলতে। কতটা পেরেছি, দর্শকই তা ভালো বলতে পারবেন। শহরে ক্রমে দূষণ বাড়ছে। আমাদের শহর কীভাবে আমরা দূষিত করছি, তা দেখানো হয়েছে নাটকে। একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ত্যাগ, তাদের জীবনযাপন আমরা চোখে যা দেখি, সেই দেখার উল্টো পিঠ উঠে এসেছে এতে।’
সাবিলা জানান, যেদিন নাটকটির দৃশ্যধারণ করা হয়, তার আগের দু’দিন উত্তরার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটিছেন। তাদের জীবনের গল্প শোনার চেষ্টা করেছেন। শুটিংয়ে কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীও উপস্থিত ছিলেন।
কীভাবে তাদের দিন শুরু হয়, কাজের দায়িত্ব এসব বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। এভাবেই সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটানোর পরই চরিত্রটি নিজের মধ্যে ধারণ করার চেষ্টা করেন অভিনেত্রী।
নাটকটিতে সাবিলার বিপরীতে অভিনয় করেছেন সুদীপ বিশ্বাস। পরিচালক অনন্য ইমন জানালেন শিগগিরই নাটকটি কোনো একটি বেসরকারি টিভিতে প্রচার হবে।