ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার শুরুটা ছিল মডেলিং দিয়ে। এরপর বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করে অর্জন করেছেন খ্যাতি। কাজ করছেন বিভিন্ন ওটিটি কনটেন্ট, সিরিজেও।
এবার এই অভিনেত্রীর জন্য এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে! তবে কী বিয়ে করছেন ফারিয়া? না, এমন কিছু না। তাকে দেখা যাবে বিচারক হিসেবে। দেশের একটি টেলিভিশনের কমেডি অনুষ্ঠানের বিচারকের আসনে বসবেন এই অভিনেত্রী।
বিজ্ঞাপন
তার সঙ্গে আরও দুই বিচারক হিসেবে থাকবেন গুণী অভিনেতা তুষার খান ও চিত্রনায়ক আমিন খান। নতুন পরিচয়ে দর্শকের সামনে আসতে পেরে বেশ আনন্দিতও শবনম ফারিয়া।
ফারিয়াকে সর্বশেষ দেখা গেছে সাজিন আহমেদ বাবুর ঈদের নাটক ‘ভারপ্রাপ্ত বউ’-এ। সেখানে তার বিপরীতে ছিলেন মোশাররফ করিম।
অভিনয়শিল্পীদের জীবন আট-দশটা মানুষের চেয়ে আলাদা। কারণ তারা এক জীবনে বহু জীবন যাপনের সুযোগ পান। প্রতিটি অভিনীত চরিত্র দিয়ে তারা ভিন্ন ভিন্ন স্বভাবের, পেশার, বয়সের, শ্রেণির, বর্ণের হয়ে ওঠেন।
আর যে শিল্পী সেই চরিত্রগুলো যতো বেশি বাস্তব সম্মতভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারেন তিনিই দর্শকের মনে থেকে যান বহু বছর। তাইতো অভিনয়শিল্পীদের চরিত্র হয়ে উঠতে নানা ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, নানা ধরনের পরিশ্রম করতে হয়। তেমনি একটি নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর।
আর তার সেই ডেডিকেশনের ব্যাপারটি স্পষ্ট হয়েছে সেই নাটকের একটি ছবিতে। তাতে দেখা যাচ্ছে পাগলের বেশে বসে আছেন সাবিলা। এক দেখাতে চেনার উপায় নেই যে তিনি একজন জনপ্রিয় তারকা। নাটকের নাম ‘দূষিত এ শহরে’। কাজটি গত বছর শুটিং করেছিলেন সাবিলা। প্রচারে আসছে শিগগিরিই। আহমেদ তাওকীরের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন অনন্য ইমন। এতে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী চরিত্রে দেখা যাবে সাবিলা নূরকে।
চরিত্রটি নিজের মধ্যে ধারণ করা প্রসঙ্গে সাবিলা বলেন, ‘একজন অভিনেত্রীর কাছে প্রতিটি চরিত্রই চ্যালেঞ্জের। চরিত্রটি ধারণ করা, বিশ্বাসযোগ্য করা একটু কঠিনই ছিল। গল্পের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চেষ্টা করেছি চরিত্রটি শতভাগ ফুটিয়ে তুলতে। কতটা পেরেছি, দর্শকই তা ভালো বলতে পারবেন। শহরে ক্রমে দূষণ বাড়ছে। আমাদের শহর কীভাবে আমরা দূষিত করছি, তা দেখানো হয়েছে নাটকে। একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীর ত্যাগ, তাদের জীবনযাপন আমরা চোখে যা দেখি, সেই দেখার উল্টো পিঠ উঠে এসেছে এতে।’
সাবিলা জানান, যেদিন নাটকটির দৃশ্যধারণ করা হয়, তার আগের দু’দিন উত্তরার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটিছেন। তাদের জীবনের গল্প শোনার চেষ্টা করেছেন। শুটিংয়ে কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীও উপস্থিত ছিলেন।
কীভাবে তাদের দিন শুরু হয়, কাজের দায়িত্ব এসব বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। এভাবেই সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে সময় কাটানোর পরই চরিত্রটি নিজের মধ্যে ধারণ করার চেষ্টা করেন অভিনেত্রী।
নাটকটিতে সাবিলার বিপরীতে অভিনয় করেছেন সুদীপ বিশ্বাস। পরিচালক অনন্য ইমন জানালেন শিগগিরই নাটকটি কোনো একটি বেসরকারি টিভিতে প্রচার হবে।
বিখ্যাত সিটকম সিরিজ ‘ফ্রেন্ডস’-এ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ম্যাথিউ পেরি। চ্যাডলার বিং-এর ভূমিকায় অভিনয় করার সময় সংলাপে তাকে একাধিক বার বলতে শোনা যেত,‘আমি সম্ভবত একাই মারা যাব।’ গল্পের চরিত্রের সেই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রুপান্তরিত করে মাত্র ৫৪ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করেন ম্যাথিউ।
সম্প্রতি ম্যাথিউর মৃত্যুর এক বছর পার হয়েছে। অকালপ্রয়াত অভিনেতার প্রতি ভালোবাসা দেখাতে ম্যাথিউর প্রিয় জনেরা চেষ্টা করছেন তার অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ করতে।
সমাজসেবা করতে পছন্দ করতেন ম্যাথিউ। বরাবরই গণমাধ্যমে এই দীর্ঘদিনের ইচ্ছার কথা জাহির করতেন। তাই তাকে স্মরণ করে গত সপ্তাহে ‘দ্য ম্যাথিউ পেরি ফাউন্ডেশন অব কানাডা’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্যে বাস্তুহারা মানুষদের সাহায্য করা। সাহায্যপ্রার্থীদের আর্থিক ও মানসিক সাহায্য কার ছাড়াও চাকরি এবং থাকার জায়গা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পেরির নিকটাত্মীয়রা।
পেরির পরিবার এবং কাছের মানুষরা তার ইচ্ছাপূরণের উদ্দেশ্যে এই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বেঁচে থাকতে পেরি প্রায়ই এই সাহায্যপ্রার্থী মানুষদের নিয়ে আফসোস করতেন এবং সাহায্য করতে চাইতেন। ম্যাথিউয়ের চলে যাওয়ার পর তার প্রিয়জনদের জন্য সময় অনেক কঠিন হয়ে যায় বলে জানান তান বোন কেইটলিন মোরিসন। তাই তারা সকলে মিলে এই ফাউন্ডেশন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পেরির মা সুজান মোরিসন এবং তার ছোটবেলার দুই বন্ধু ব্রিয়ান ম্যুরে ও কারা ভ্যাকারিনো এই সংস্থার প্রেসিডেন্ট এবং সিইও-র দায়িত্বে রয়েছেন। ম্যাথিউকে হারানোর দুঃখ কাটিয়ে উঠতেই তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গতবছর ২৮ অক্টোবর মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ফ্রেন্ডস ক্যাত হলিউড অভিনেতা ম্যাথিউ পেরিকে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছিল দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছে তার। তার লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে একাই ছিলেন দিন। ঘটনার দিন বাথটাব থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। আচমকাই তার মৃত্যুর খবরে সকলে হতবাক হয়ে যান।
সেসময় মৃত্যুর কারণ নিয়ে নানারকম মত প্রকাশ করা হচ্ছিল বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। কিন্তু ১০ মাস পর জানা যায়, অতিরিক্ত মাদক প্রয়োগে মৃত্যু হয়েছিল অভিনেতার। শুধু তার পরিবার, বন্ধু বা সহকর্মীরা নয়; এমন অনাকাক্ষিত মৃত্যুতে কেঁদেছে লাখো ভক্ত।
ধর্মা প্রোডাকশন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বহুল জনপ্রিয় একটা নাম। নতুন দশকের শুরু থেকে দুই যুগ ধরে করণ জোহরের নেতৃত্বে কোম্পানিটি উন্নতির সীমা ছাড়িয়ে যায়। কুচ কুচ হোতা হ্যায়, কাভি খুশি কাভি গাম, কাভি আলবিদা না ক্যাহেনা, অগ্নিপথ, ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি, স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার, টু স্টেটস, হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া, কাপুর এন্ড সনস, ডিয়ার জিন্দেগি, রাজি, শেরশাহ, অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল, সিম্বা, রকি রানি অউর প্রেম কাহানি’র মতো আরও অনেক জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছে ধর্মা প্রোডাকশন।
এমন বিখ্যাত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই ব্যবসায়ী আদর পুনাওয়ালার কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন করণ জোহর। ধর্মা প্রোডাকশনের ৫০ শতাংশ শেয়ার ১০০০ কোটি রুপিতে কিনে নিয়েছেন আদর পুনাওয়ালা। এক প্রকার বাধ্য হয়েই নিজের ধর্মা প্রোডাকশনের অর্ধেক বিক্রি করে দিয়েছেন করণ জোহর। কিন্তু কেন?
টপলার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধর্মা ২০২৩-২৪ সালে মাত্র ৫৯ লাখের সামান্য মুনাফা করেছে। আর এই তথ্যই প্রশ্ন তুলছে, যে এই কারণেই কি কোম্পানিটির আদর পুনাওয়ালার কাছ থেকে ১০০০ কোটি রুপির প্রয়োজন পড়ল? না হলে, পারিবারিক মালিকানাধীন ব্যবসার শেয়ার কেন অন্যের হাতে দিতে যাবে ধর্মা?
২০১৯ সাল নাগাদ, ধর্মা বছরে ৭০০ কোটির বেশি আয় করেছে এবং এর মধ্যে প্রায় ২৭ কোটি লাভও করেছে। তারপরে করোনা মহামারী আঘাত হানে, বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় সিনেমা জগৎ। অন্যান্য প্রযোজনা সংস্থার মতো ধর্মা প্রোডাকশনের রেভিনিউ ৮৩ শতাংশ এবং লাভ ৭৫ শতাংশ কমে যায়।
কোভিড-১৯ মহামারীর পরে এই প্রোডাকশন হাউসের কামব্যাক বক্স অফিস কাঁপিয়ে গিয়েছে। জুগ যুগ জিও, ব্রহ্মাস্ত্র এবং সূর্যবংশীর মতো সফল ছবির মাধ্যমে কোম্পানিটি ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে ১০০০ কোটির বেশি আয় করেছে। ফ্যাবুলাস লাইভস এবং কফি উইথ করণ-এর মতো জনপ্রিয় শো চালিয়েও ভালোই লাভ করেছে।
কিন্তু ২০২৩-২৪ সালে অনেক ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে ধর্মা। সেলফি এবং যোধার মতো সিনেমাগুলি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এমনকি কফি উইথ করণও আগের মত দর্শক পায়নি। আয় অনেক কমে গিয়েছে। কোম্পানির অংশ বিক্রি করা ছাড়া করনের আর কোনও উপায় ছিল না। যদিও তিনি নিজের বাবার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ হারাতে চাননি, তাই অর্ধেক বেচে দিয়েছেন। ট্রেড বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, করণ ও আদরের এই চুক্তি ধর্মাকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে দেবে।
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোর বড়পর্দায় কামব্যাক নিয়ে সম্প্রতি বেশ আলোচনা শোনা যাচ্ছে শোবিজে। এরইমধ্যে জানা গেছে, এই অভিনেতা তার অভিষেক সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আলফা আইয়ের নতুন দুটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তারমধ্যে একটি জনপ্রিয় নির্মাতা শিহাব শাহীনের ‘দাগী’।
তবে এই সিনেমার নায়িকা কে হবেন তা জানা যাচ্ছিলো না। আজ কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর বের হয়, ‘দাগী’র মাধ্যমে আবারও জুটি হয়ে ফিরবেন ‘সুড়ঙ্গ’ ছবির নায়ক-নায়িকা আফরান নিশো আর তমা মির্জা।
বিষয়টির সতত্য যাচাই করতে তমার সঙ্গে যোগোযোগ করা হলে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এই সিনেমাটিতে আমার যুক্ত হওয়া নিয়ে এখনই কথা বলার সুযোগ নেই। কারণ এখনো সবকিছু চূড়ান্ত হয়নি। সব ঠিকঠাক হলে তারপর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকেই সবাইকে জানানো হবে।’
তমা মির্জা আপাতত বিষয়টি নিয়ে পুরোটা খুলে না বললেও তার কথায় মনে হয়েছে তিনি খবরটি এখনই জানাতে চান না। তাকেই হয়তো এই ছবিতে দেখা যাবে, তবে ঘোষণা আসার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ভক্তদের।
আফরান নিশো ও তমা মির্জা একসঙ্গে জুটি বেধে প্রথমবার কাজ করেছিলেন ২০২৩ সালে জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফীর সুপারহিট সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’তে। এরপর দু’জনই লম্বা সময়ের বিরতি নিয়েছেন সিনেমা থেকে।
সিনেমা সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ‘দাগী’তে নিশোর নায়িকা হচ্ছেন তমা মির্জা। খুব দ্রুতই আসছে সিনেমাটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। ডিসেম্বরে শুটিং শুরু পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা গেছে, চাঁদপুরের মদনা গ্রামের ছিঁচকে চোর রসু খাঁ ভালোবাসায় পরাস্ত হয়ে এক সময় সিরিয়াল কিলারে পরিণত হয়। সেই গল্প নিয়ে ‘দাগী’ সিনেমার গল্প। যে গল্পে আগে নিশোকে নিয়ে ওয়েব সিরিজ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন নির্মাতা শিহাব শাহীন। সেটাই এখন বড় পর্দায় আসতে চলেছে।
প্রায় দেড় যুগের ছোটপর্দার সফল ক্যারিয়ার পেরিয়ে গত বছর ঈদুল ফিতরে ‘সুড়ঙ্গ’ এর মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষিক্ত হন আফরান নিশো।