বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনটিভির কমেডি রিয়্যালিটি শো ‘হা-শ ‘ থেকে বেরিয়ে আসা পারফর্মাররা দেশে-বিদেশে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। বিভিন্ন মঞ্চে তারা পারফর্ম করা জন্য ডাক পাচ্ছেন।
বিগত ৬টি সিজনের এমন সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আবারও শুরু হতে যাচ্ছে কমেডি রিয়্যালিটি শো ‘হা-শো সিজন ৭’। এবার এই আয়োজনের বিচারক হিসেবে আছেন চিত্রনায়ক আমিন খান, অভিনেতা তুষার খান ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। জাহাঙ্গীর চৌধুরী ও কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা’র যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক হিসেবে আছেন জনপ্রিয় কমেডিয়ান আবু হেনা রনি।
বিজ্ঞাপন
আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠানটি এনটিভিতে প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ৯টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে।
ইতোমধ্যে অনুষ্ঠানের প্রাথমিক পর্যায়ে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত প্রতিযোগিদের নিয়ে দেশের ৭টি প্রধান বিভাগীয় শহরে অডিশন রাউন্ড শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও সিলেট বিভাগ থেকে মোট ৪৫ জন প্রতিযোগিকে বাছাই করা হয়। তাদের নিয়েই সাজনো হবে অনুষ্ঠানের মূল পর্বগুলো। এখান থেকে পর্যায়ক্রমে নির্বাচিত ৬ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে গ্র্যান্ড ফিনালে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন। গত তিন বছর ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন এই শিল্পী। আজ (১২ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টা ৪৫ মিনিটে পাপিয়া সারোয়ার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার মৃত্যুতে দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শেষ বিদায়ে প্রিয় সহকর্মীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মরণ করেছেন দেশের কিংবদন্তি রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
তিনি লিখেছেন, ‘একসঙ্গে গানের জীবনে পথ চলেছিলাম সাদি, পাপিয়া আর মিতার সঙ্গে। শুধু আমি রয়ে গেলাম।’
তার এই সংক্ষিপ্ত মন্তব্যের মধ্যেই রয়ে গেলো কতো না বলা কথা। একইসঙ্গে নিজেদের বন্ধুত্ব ও সেই বন্ধুদের একে একে না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার যন্ত্রণার কথা ব্যক্ত করেছেন বন্যা। তিনি যে এখন একেবারে সঙ্গীহারা, একা হয়ে পড়লেন এ কথাও জানাতে ভুললেন না।
মিতা চৌধুরী ও সাদি মহম্মদের বিদায় বেলায়ও একইভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন বন্যা। সাদির শ্রদ্ধা বাসরে গেয়েছিলেন গান।
বন্যা ছাড়াও বার্তা২৪.কমকে পাপিয়া সারোয়ারের চলে যাওয়া নিয়ে মন্তব্য করেছেন উপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লা। তিনি বলেন, ‘পাপিয়া সারোয়ারের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি এ দেশের অসংখ্য মানুষের প্রিয় শিল্পী। আমারও প্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পীদের একজন। তার গায়কী আমার খুব পছন্দ ছিলো। তার কণ্ঠশৈলী সবার চেয়ে আলাদা, ইউনিক। এজন্য তাকে দর্শক শ্রোতা সহজেই আলাদা করতে পারতেন। সঙ্গীত নিয়ে আজীবন নিমগ্ন থেকেছেন, নতুন প্রজন্মের মাঝে নিজের মেধা ছড়িয়ে দিয়েছেন। এই যে সঙ্গীতগুরুর ভূমিকা, এটা ভীষণ বড় ব্যাপার। যা আমাদের সঙ্গীতের ধারাকে সচল রাখতে সাহায্য করেছে।’
রুনা লায়লা আরও বলেন, ‘তার এই চলে যাওয়া, দীর্ঘদিন কঠিন ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করা, সবটাই তার গানের শ্রোতা হিসেবে, সহকর্মী হিসেবে আমার জন্য খুবই কষ্টদায়ক। আমি দোয়া করি এবং সবার কাছে তার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া চাই।’
সবশেষে বলেন, ‘পাপিয়া সারোয়ার চলে যাওয়ায় একটা কথা আবার মনে আসছে। আমাদের দেশের সঙ্গীতাঙ্গন কিভাবে একে একে সব অভিভাবকদের হারাচ্ছে। যে চলে যাচ্ছেন, তার শূণ্যতা রয়েই যাচ্ছে, পূরণ আর হচ্ছে না। এটা কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছু নয়। অভিভাবকহীন সংসার যেন ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে, সঙ্গীতের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই।’
দীর্ঘদিন ধরেই জটিল রোগে ভুগছিলেন পাপিয়া সারোয়ার। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বছর তাকে দিল্লিতেও নিয়ে যাওয়া হয়। তার দুই মেয়ে জারা সারোয়ার ও জিশা সারোয়ার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বসবাস করছে।
পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পরে ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান।
তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সানজীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতদীক্ষা নেন। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন। আধুনিক গানেও তিনি সফল। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দেয়।
পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভের পর ২০২১ সালে একুশে পদক পান এই সংগীত শিল্পী।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন। গত তিন বছর ধরে ক্যান্সারে ভুগছিলেন এই শিল্পী। আজ (১২ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টা ৪৫ মিনিটে পাপিয়া সারোয়ার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার মৃত্যুতে দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
উপমহাদেশের কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লার কাছে পাপিয়া সারোয়ারকে নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘পাপিয়া সারোয়ারের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি এ দেশের অসংখ্য মানুষের প্রিয় শিল্পী। আমারও প্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পীদের একজন। তার গায়কী আমার খুব পছন্দ ছিলো। তার কণ্ঠশৈলী সবার চেয়ে আলাদা, ইউনিক। এজন্য তাকে দর্শক শ্রোতা সহজেই আলাদা করতে পারতেন। সঙ্গীত নিয়ে আজীবন নিমগ্ন থেকেছেন, নতুন প্রজন্মের মাঝে নিজের মেধা ছড়িয়ে দিয়েছেন। এই যে সঙ্গীতগুরুর ভূমিকা, এটা ভীষণ বড় ব্যাপার। যা আমাদের সঙ্গীতের ধারাকে সচল রাখতে সাহায্য করেছে।’
রুনা লায়লা আরও বলেন, ‘তার এই চলে যাওয়া, দীর্ঘদিন কঠিন ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করা, সবটাই তার গানের শ্রোতা হিসেবে, সহকর্মী হিসেবে আমার জন্য খুবই কষ্টদায়ক। আমি দোয়া করি এবং সবার কাছে তার আত্মার শান্তির জন্য দোয়া চাই।’
সবশেষে বলেন, ‘পাপিয়া সারোয়ার চলে যাওয়ায় একটা কথা আবার মনে আসছে। আমাদের দেশের সঙ্গীতাঙ্গন কিভাবে একে একে সব অভিভাবকদের হারাচ্ছে। যে চলে যাচ্ছেন, তার শূণ্যতা রয়েই যাচ্ছে, পূরণ আর হচ্ছে না। এটা কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছু নয়। অভিভাবকহীন সংসার যেন ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে, সঙ্গীতের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই।’ দীর্ঘদিন ধরেই জটিল রোগে ভুগছিলেন পাপিয়া সারোয়ার। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বছর তাকে দিল্লিতেও নিয়ে যাওয়া হয়। তার দুই মেয়ে জারা সারোয়ার ও জিশা সারোয়ার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বসবাস করছে।
পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পরে ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান।
তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সানজীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতদীক্ষা নেন। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন। আধুনিক গানেও তিনি সফল। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দেয়।
পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভের পর ২০২১ সালে একুশে পদক পান এই সংগীত শিল্পী।
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সিনেমার প্রিমিয়ারে অন্য উপদেষ্টাদের উপস্থিতি থাকবে না, তা কি হয়! গতকাল (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীস্থ মাল্টিপ্লেক্সে আয়োজিত প্রিমিয়ারে দর্শক সারিতে দেখা গেছে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই তরুণ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়াকে। দু’জনেই পুরো সিনেমাটি মনোযোগ দিয়ে দেখেছেন। শো শুরুর আগে সিনেমাটি নিয়ে কথা বলেছেন দুই উপদেষ্টা।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন, ‘‘শুরু থেকেই আমাদের লড়াই চলছিল। আমরা সবেমাত্র সেই লড়াইয়ের একটা ধাপ পার করলাম। মাঠের লড়াইটা সাময়িক সময়ের। কিন্তু যেটা দীর্ঘমেয়াদি ও সার্বজনীন লড়াই সেটা হলো- সাংস্কৃতিক লড়াই। এই লড়াইটা ফারুকী ভাইয়েরা আগে থেকেই করে আসছিলেন। আশা করি, তার এই সিনেমাটি পূর্বের ‘৪২০’ নাটকের চেয়ে বেশি সাড়া জাগাবে। আমাদের আগামীর সার্বজনীন সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে ফারুকী ভাই আরও অবদান রাখবেন।’’
এদিকে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘একজন শিল্পী, নির্মাতা, সাহিত্যিক সমাজের বাস্তবতা তুলে ধরবেন। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে আমাদের শিল্পী, সাহিত্যিক বা আমাদের নির্মাতারা অনেক সময় অনেক বিষয় তুলে আনতে পারেনি। এখন আমাদের সময় সেই কথাগুলো বলা। সেই কাজটাই করেছেন ফারুকী ভাই। আমরা রাজনৈতিক একটা লড়াইয়ের মাধ্যমে এসেছি। সেই লড়াইটা এখনও চলমান। যারা সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িতে তাদের কাছে আমাদের আহ্বান, সিনেমার মাধ্যমে সমাজের প্রসিদ্ধ বিষয়গুলো তুলে আনার চেষ্টা করুন।’
এর আগে নির্মাতা ফারুকী বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক বিদ্রূপধর্মী একটি সিনেমা। এটা নির্মাণ করেছি গেল বছরের নভেম্বর মাসে, অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। ছবিটা যারা দেখবেন তারা হয়তো বুঝতে পারবেন, নির্মাণের সময় আমরা কতটা আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। সে সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লোকেরা আমাদের সব সময় পাহারায় রেখেছে। প্রতিদিন রাতে আমি ভাবতাম, কখন যে অমাকে ধরে ফেলে। এমন কি নওগাঁয় ডিসি অফিসের শুটিংয়ের সময়ও তারা আমাদের ঝামেলায় ফেলতে চেয়েছে। অবশেষে ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে, এটাই আশার কথা।’
এদিন প্রিমিয়ার শোতে আরও ছিলেন ‘৮৪০’ সিনেমার অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান, ফজলুর রহমান বাবু, বিজরী বরকতুল্লাহ, নাদের চৌধুরী, শাহরিয়ার নাজিম জয়, জাকিয়া বারী মম ও প্রান্তর দস্তিদার। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা রায়হান রাফী, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, শঙ্খ দাশগুপ্ত, অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ, কণ্ঠশিল্পী দিলশাদ নাহার কণা, জেফার রহমানসহ অনেকে।
‘৮৪০’ সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে ১৬ বছর আগে সুপারহিট ‘৪২০’ নাটকের সূত্র ধরে। ‘৮৪০’ মুক্তি পাচ্ছে ১৩ ডিসেম্বর।
সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, সঙ্গে থাকছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম। চিত্রগ্রহণ করেছেন শেখ রাজিবুল ইসলাম, সংগীত পরিচালনায় ছিলেন পাভেল আরিন ও সাউন্ড ডিজাইনার রিপন নাথ। সম্পাদনায় তাহসিন মাহিম ও শিল্প পরিকল্পনা করেছেন ইব্রাহিম এইচ বাবু। পোশাক পরিকল্পনা করেছেন পূজাঞ্জলি চৌধুরী ও মেক-আপ এ ছিলেন মোঃ খাইরুল ইসলাম।
মারা গেছেন একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
গণমাধ্যমকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন পাপিয়া সারোয়ারের স্বামী সারওয়ার আলম। তিনি জানান, প্রয়াতের মরদেহ আজ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। কাল জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বেশ কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন পাপিয়া সারোয়ার। গত পাঁচ দিন ধরে ঢাকার তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তিনি। এর আগে তিনি রাজধানীর আরও একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
পাপিয়া সারওয়ারের দুই মেয়ে জারা ও জিশান যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বসবাস করেন। মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে দুই মেয়েই বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
পাপিয়া সারওয়ারের জন্ম বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগে স্নাতক শেষ করেন। উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি নিয়ে ভারতে যান। শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্র সঙ্গীতে ডিগ্রি অর্জন করে পড়াশোনা শেষ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার পর ভারত সরকারের কাছ থেকে বৃত্তি পাওয়া প্রথম ব্যক্তি ছিলেন পাপিয়া সারোয়ার।
তিনি ‘ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তন’ এবং ‘বুলবুল একাডেমি অফ ফাইন আর্টস’ (বাফা)-এ সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তার সঙ্গীত গুরু ছিলেন শিল্পী ওয়াহিদুল হক, সানজিদা খাতুন, এবং জাহেদুর রহিম। ১৯৯৬ সালে পাপিয়া সারোয়ার ‘গীতসুধা’ নামে একটি সঙ্গীত দল প্রতিষ্ঠা করেন।