ভিডিও বার্তায় অভিবাসীদের জন্য সেলেনার কান্না

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভিডিও বার্তায় কান্নায় ভেঙে পড়েন সেলেনা গোমেজ

ভিডিও বার্তায় কান্নায় ভেঙে পড়েন সেলেনা গোমেজ

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে ঝটিকা অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের নির্দেশে শুরু হয়েছে এ তৎপরতা। এদিকে নথিপত্রহীন অভিবাসীদের হাতকড়া পরিয়ে ফেরত পাঠানোর ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করেন হলিউডের প্রখ্যাত গায়িকা–অভিনেত্রী সেলেনা গোমেজ। ভিডিওতে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় সেলেনাকে। এরপর অন্তর্জালে প্রবল সমালোচনার মুখে ভিডিওটি মুছে দেন তিনি।

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পোস্ট করা ভিডিওতে কাঁদতে কাঁদতে সেলেনাকে বলতে শোনা যায়, ‘সবাইকে বলতে চাই, আমি খুবই দুঃখিত। অনেকে হামলার শিকার হচ্ছেন, শিশুরা বাদ যাচ্ছে না; আমি বুঝতে পারছি না, কী হচ্ছে। আমি খুবই দুঃখিত। যদি আমি কিছু করতে পারতাম! কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। আমি জানি না কী করব। তবে আমি প্রতিজ্ঞা করছি, সম্ভব সবকিছু করব।’

বিজ্ঞাপন
সেলেনা গোমেজ

এদিকে অভিবাসীদের পক্ষে সেলেনার এমন আবেগঘন বার্তার পর কড়া সমালোচনা করেন অনেকে। কেউ কেউ দাবি তোলেন, তাকে যুক্তরাষ্ট্রে থেকে বহিষ্কারের। অন্তর্জালে প্রবল সমালোচনার মুখে পরে ভিডিও বার্তা মুছে দেন সেলেনা।

যুক্তরাষ্ট্রের সঞ্চালক টমি লরেন এক্সে সেলেনার সমালোচনা করেন। ডানপন্থী রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী বলে পরিচিত টমি লিখেছিলেন, ‘এ জন্যই আমাদের ডিজনির শিশু তারকাদের রাজনৈতিক উপদেশ শোনা উচিত নয়।’ ডিজনির সিরিজ দিয়ে সেলেনার উত্থান, এই পোস্টে তিনি যে সেলেনার কথাই বোঝাতে চেয়েছেন সেটা পরিষ্কার।

বিজ্ঞাপন
সেলেনা গোমেজ

এর আগেও ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কড়া সমালোচনা করেছেন সেলেনা। গত বছরের অক্টোবরে ‘এমিলিয়া পেরেজ’ ছবির প্রচারের সময় ভ্যারাইটিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘অবশ্যই আমি মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই।’

সেলেনা গোমেজের পরিবার মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসে থিতু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ১৯৭০ সালে তার ফুফু মেক্সিকোর সীমান্ত পার হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার জন্য একটা ট্রাকের পেছনে উঠেছিলেন। তার পিছু পিছু আসেন সেলেনার দাদা-দাদিও। সেলেনার বাবার জন্ম হয় টেক্সাসে।

সেলেনা গোমেজ

১৯৯২ সালে সেখানেই জন্ম সেলেনার। ২০১৯ সালে অভিবাসীদের গল্প নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র ‘লিভিং আনডকুমেন্টেড’-এর অন্যতম প্রযোজক ছিলেন তিনি। এ সিনেমায় যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘এ তথ্যচিত্রে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা আটটি অভিবাসী পরিবারের গল্প তুলে ধরা হয়। প্রতিটি পরিবার বিতাড়নের মধ্য দিয়ে গেছে, যাচ্ছে। তাঁদের এই সংগ্রামের ভিডিও চিত্র দেখে আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। লজ্জায় কুঁকড়ে গেছি। মনে হচ্ছিল, আমি যেন আমার পরিবারের সংগ্রামটাই দেখছি। তবে এই ভিডিও চিত্রের কিছু অংশে আমি আশা দেখেছি, দেখেছি অনেক কষ্ট সহ্য করেও নতুন একটা দেশকে আপন করে নেওয়ার পরের দেশপ্রেম।’

‘লিভিং আনডকুমেন্টেড’ পরে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায়।

সেলেনা গোমেজ

খবর: ভ্যারাইটি