হাতেখড়ি ছাড়াই কিশোরীর অবাক করা বহুভাষিক দক্ষতা

  • ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের এক কিশোরী তার অসাধারণ ভাষার দক্ষতা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। কিশোরীর নাম শুমাইলা। কখনো স্কুলের গন্ডিতে পা না দিয়েও শুমাইলা যেভাবে উর্দু, ইংরেজি, সারাইকি, পাঞ্জাবি, পশতু ও চিত্রালি ভাষায় দক্ষতা দেখিয়েছেন তা দেখে সত্যিই অবাক হওয়ার মতো।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের লোয়ার দিরে চিনাবাদাম, সূর্যমুখী বীজ এবং অন্যান্য খাবার বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে শুমাইলা। তাকে পাকিস্তানি ইউটিউবার জিশান শাব্বির আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি ডাক্তার জিশান নামেও পরিচিত। হিন্দুকুশ পর্বতমালার মধ্য দিয়ে দির ও চিত্রলকে সংযোগকারী আইকনিক লোয়ারী টানেলের কাছে ভ্লগ চিত্রগ্রহণের সময় শুমাইলার সঙ্গে দেখা হয় তার।

বিজ্ঞাপন

একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথোপকথন হয়। সেই কথোপকথনের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুমাইলা ভাইরাল হয়ে যায়।

ওই ভিডিওতে, শুমাইলার চিত্তাকর্ষক ভাষা দক্ষতা এবং কমনীয় ব্যক্তিত্ব সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মনে জায়গা করে নিতে বাধ্য করেছে।

বিজ্ঞাপন

এতে দেখা যায়, শাব্বির যখন শুমাইলাকে নিজের পরিচয় দিতে বলেন, তখন শুমাইলা অসাধারণ আত্মবিশ্বাস ও ভদ্রতার সঙ্গে উত্তর দেন। শুমাইলা বলেন, "আমার বাবা ১৪টি ভাষায় কথা বলেন এবং আমি ছয়টি ভাষায় কথা বলতে পারি। আমি স্কুলে যাই না। আমার বাবা আমাকে বাড়িতে পড়ান।

হাতেখড়ি ছাড়াই কিশোরীর অবাক করা বহুভাষিক দক্ষতা। ছবি: সংগৃহীত

তারপরে সে তার পণ্যের প্রচার করতে গিয়ে বলেন, "আমি চিনাবাদাম এবং সূর্যমুখী বীজ বিক্রি করছি। আপনি কিছু কিনতে চাইলে আমাকে বলুন।"

ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে শুমাইলা তার পরিবার নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমার পাঁচ জন মা ও ৩০ জন ভাই-বোন রয়েছে। পরিবারের সবাই সাবলীলভাবে ইংরেজি বলতে পারেন। আমার এক ভাই ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে থাকেন। তিনি তার প্রতিদিনের রুটিন সম্পর্কেও আমাকে শেয়ার করেন।

ভিডিওগুলো দেখে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা শুমাইলার অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা, আত্মবিশ্বাস এবং উদ্যোক্তা মনোভাবের জন্য প্রশংসা করেছেন। অনেক ব্যবহারকারী তাকে বই পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।

ভিডিওর মন্তব্যের ঘরে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "এটি দুর্দান্ত। সৃষ্টিকর্তা তাকে সব দিক দিয়ে সর্বোত্তম মঙ্গল করুক। আমিন।"

অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, "তার ইংরেজিতে দক্ষতা অভিজাত স্কুলে পড়া অনেকের চেয়ে ভালো। তার বাবার প্রচেষ্টাকে অভিনন্দন।"

তৃতীয় একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, "আমার প্রিয়তম শুমাইলা, তুমি আমাকে গর্বিত করেছো। তোমার জন্য আমি বই পাঠাতে চাই। কীভাবে পাঠাবো সেটা দয়া করে জানাও। ধন্যবাদ।"

চতুর্থ একজন যোগ করেছেন, "এটি খুব সুন্দর, বিস্ময়কর প্রতিভা প্রকাশের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। সে খুব বুদ্ধিমতী বলে মনে হচ্ছে। আমরা কি তার পরিবারকে স্কুলের খরচ বহন করার জন্য কিছু সাহায্য করতে পারি? আমি তাকে সাহায্য করতে চাই।"