মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি হাতুড়ে ডাক্তার আটক

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক অভিযানে ভুয়া চিকিৎসা দেয়ার অপরাধে এবং অনিবন্ধিত ওষুধ বিক্রির অভিযোগে ১০ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) কুয়ালালামপুরের ১০টি স্থানে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসব স্থানে চিকিৎসার নামে প্রতারিত হতেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। অনেক প্রবাসী স্থানগুলোকে ক্লিনিক হিসেবে বিবেচনা করতেন।

বিজ্ঞাপন

ইমিগ্রেশন বিভাগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথভাবে পরিচালিত এই বিশেষ অভিযানে আটক করা হয়েছে ১০ জন বাংলাদেশিকে। তাদের বয়স ৩১ বছর থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।

দুই সপ্তাহের নজরদারি এবং তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতে, জালান তুন সিউ সিন, লেবোহ পুডু এবং জালান সিলাংসহ শহরের ১০টি স্থানে বাংলাদেশিদের খাবারের খাবারের দোকান এবং মুদি দোকানে ছদ্মবেশে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান বলেছেন, এই সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৫০২ ধরনের অনিবন্ধিত ওষুধ জব্দ করেছে, যার মূল্য প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার রিঙ্গিত বা ৬৬ লাখ টাকা।

তিনি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, অভিযানে নকল চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ এবং নগদ ৮০০ রিঙ্গিত বা ২০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। চিকিৎসা এবং ওষুধ বিক্রি থেকে এই আয় হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাকারিয়া বলেন, অভিযানের সময় যাচাই করা দেখা যায়, আটক বাংলাদেশিদের মধ্যে একজনের কাছে পরিষেবা খাতের অধীনে একটি অস্থায়ী কাজের ভিজিট পাস (পিএলকেএস), ছয়জনের কাছে নির্মাণ খাতের অধীনে পিএলকেএস ছিল, দুজন অতিরিক্ত অবস্থান করেছিলেন, এবং অন্য একজন বৈধ নথি ছাড়াই মালয়েশিয়ায় রয়েছেন।

তিনি বলেন, যে প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে যে আটকৃতরা কোন ধরনের চিকিৎসা প্রদানের যোগ্য না হয়েও সেবা প্রদান করছিলেন।

তিনি জানান, উদ্ধারকৃত ওষুধগুলো পর্যটক হিসেবে বাংলাদেশি নাগরকিরা নিয়ে আসেন। এর জন্য বহনকারীকে ২০০ থেকে ৫০০ রিঙ্গিত বা ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।

"চিকিৎসা এবং ওষুধ প্রদান বাবদ রোগীদের থেকে ৫০ থেকে ২০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত ফি নেয়া হতো। গত ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ব্যবসা করে যাচ্ছিলেন প্রতারকরা।

জাকারিয়া আরও বলেন, অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজনদের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে পাঠানো হয়েছে।