শেখ হাসিনাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করে ভারত

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তার সেখানে অবস্থান নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন উঠলেও এবার সে বিষয়ে মুখ খুললেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করে বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) নয়াদিল্লিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন রণধীর জয়সওয়াল।

বিজ্ঞাপন

এ সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ভারতের সরকারের অবস্থান তুলে ধরে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা এখান থেকে ইতিমধ্যে বলেছি যে, তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের অবস্থান এটাই।’

গত মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবিলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর আওয়ামী লীগ অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। এই বিবৃতিতে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ‘‘প্রধানমন্ত্রী’’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এমতাবস্থায় ওই সাংবাদিক জানতে চেয়েছেন, ভারত শেখ হাসিনাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করে, নাকি নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। জবাবে ওই মন্তব্য করেন জয়সওয়াল।


চট্টগ্রামে হিন্দুদের ওপর হামলার নিন্দা

এ সময় চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় চরমপন্থীরা জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন জয়সওয়াল। একইসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারকে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানিয়েছে তিনি।

জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি যে, বাংলাদেশের চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে। তাদের সম্পত্তি লুট করা হয়েছে, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট করা হয়েছে। হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে লক্ষ্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ার পর এসব ঘটনা ঘটেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা বোঝা যায় যে, এই ধরনের পোস্ট এবং এমন অবৈধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পেছনে চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলো জড়িত। এতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আরও বাড়বে। আমরা আবারও বাংলাদেশ সরকারকে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’