ফিলিস্তিনিদের দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে শেষ হলো রিয়াদ সম্মেলন
ফিলিস্তিনিদের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে শেষ হয়েছে আরব লীগ ও ওআইসিভুক্ত দেশের একদিনের রিয়াদ সম্মেলন। সোমবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আরব ও ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর পক্ষ থেকে এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের স্বাধিকার সংগ্রাম এবং তাদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার প্রতি দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছে রিয়াদ সম্মেলন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ এ খবর জানায়।
খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, রিয়াদ সম্মেলন মনে করে, স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিনের রাজধানী পূর্ব জেরুজালেম। সেইসঙ্গে ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা নিজ বাসভূমে ফিরে যাওয়ার অধিকার রাখে।
ফয়সাল বিন ফারহান আরো বলেন, রিয়াদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী আরব ও ইসলামিক দেশগুলি আন্তরিকভাবে আকাঙ্ক্ষা করে যে, গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের যুদ্ধের পরিসমাপ্ত ঘটাতে দেশগুলো অব্যাহতভাবে ভূমিকা রেখে যাবে।
‘দুই দেশ দুই জাতি’ নীতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের সংঘাতের সমাধান ও শান্তির একমাত্র উপায় ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল নামক দুটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
- ‘লেবানন-ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধে রিয়াদ কনফারেন্স’
- যুদ্ধ বন্ধের পথ খুঁজতে রিয়াদে আরব-ইসলামি শীর্ষ সম্মেলন
ফরহান বলেন, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের হুমকি হ্রাসে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহযোগিতা করে যাবে।
রিয়াদ সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো মনে করে, আরব ও মুসলিম জাতির রক্ষায় জেরুজালেমে রেড লাইন থাকবে। কারণ, ইসলামিক ও খ্রিস্টানদের পবিত্র স্থানগুলো এখানেই অবস্থিত।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৫ সালের ২২ মার্চ মিশরের রাজধানী কায়রোতে দ্য আরব লীগ গঠন করা হয়। মিশর, ইরাক, ট্রান্সজর্ডান, লেবানন, সৌদি আরব, সিরিয়া এবং উত্তর ইয়েমেন নিয়ে প্রাথমিকভাবে গঠিত হলেও বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ২২।
এছাড়া ৫৭টি দেশ নিয়ে ‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) গঠিত।