পররাষ্ট্রে মার্কো রুবিও-ক্রিস্টি নোয়েমকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করতে পারেন ট্রাম্প

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সিনেটর মার্কো রুবিও এবং ক্রিস্টি নোয়েমকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে একথা বলা হয়।

বিজ্ঞাপন

মার্কো রুবিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলে প্রথম কোনো লাতিনো বংশোদ্ভূত রাজনীতিক যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন। রুবিওর জন্ম ফ্লোরিডাতেই। তিনি বিগত বছরগুলোতে চীন, ইরান, কিউবাসহ যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতি সম্মান রেখেই শক্তিশালী মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির পক্ষে কথা বলেছেন।

তবে ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে আরও বেশি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হতে বেশ কয়েক বছর ধরে নিজের অবস্থানে নমনীয় হয়েছেন রুবিও। এর আগে ট্রাম্প অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টরা ব্যয়বহুল ও ব্যর্থ অনেক যুদ্ধে জড়িয়েছেন। একই সঙ্গে তারা আরও সংযত একটি পররাষ্ট্রনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সাউথ ডাকোটা রাজ্যের গভর্নর ক্রিস্টি নোয়েম হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব পেলে সন্ত্রাসবিরোধী, সীমান্ত নিরাপত্তা, অভিবাসন ও কাস্টমস, সাইবার নিরাপত্তা এবং দুর্যোগ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর তত্ত্বাবধান করবেন।

এদিকে জাতিসংঘে রাষ্ট্রদূত পদে এলিস স্টেফানিককে মনোনীত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।স্টেফানিককে জাতিসংঘে পাঠানোর কথা ঘোষণা করে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমার পরবর্তী প্রশাসনে জাতিসংঘে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত হিসেবে কংগ্রেস সদস্য এলিস স্টেফানিককে মনোনয়ন দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। এলিস একজন অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী, অনমনীয় এবং চৌকস আমেরিকান। তিনি প্রথমসারির যোদ্ধা।

আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে রিপাবলিকান পার্টির সদস্য ৪০ বছরের এলিসের ‘ইসরায়েলের বন্ধু’ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। তাকে জাতিসংঘে আমেরিকার প্রতিনিধি নিয়োগ করা ট্রাম্পের ‘তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত’ বলে মনে করছে রিপাবলিকান পার্টির একাংশ।