গাজার স্কুলে ইসরায়েলি হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ১২
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একটি স্কুলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বোমা হামলায় জালিয়েছে। এ ঘটনায় নারী-শিশুসহ ১২ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা শহরের একটি স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ জনে। এ ঘটনায় আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া গাজার খান ইউনিসের কাছে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে আরও বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ওয়াফা নিউজ এজেন্সি বলছে, গাজা শহরের আল-তাবিন স্কুলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বুধবার ভোরে হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
এদিকে, গাজা শহরের দক্ষিণ খান ইউনিসের কাছে আল-কারারা এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও দু’জন নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
উল্লেখ, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৪ হাজার ২৮২ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছে। বন্দি রয়েছে ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক।
এছাড়া লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৮২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫ হাজার ৮৫৯ জন।