শুল্ক হুমকির পর ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করলেন জাস্টিন ট্রুডো

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর কানাডার আমদানি পণ্যের বিরুদ্ধে নতুন করে শুল্ক আরোপের অঙ্গীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন হুঁশিয়ারির পর ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে তার ফ্লোরিডার মার-এ-লাগো রিসোর্টে গেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পাম বিচ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে মার-এ-লাগো এস্টেটে যান ট্রুডো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কানাডিয়ান পণ্যের ওপর ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি প্রতিরোধ করার চেষ্টায় তার এ সাক্ষাৎ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর মেক্সিকো, চীন ও কানাডা থেকে আমদানি হওয়া সব পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করবেন তিনি। ট্রাম্পের এই হুমকির পর কানাডায় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এরপর ফোনে এই দুই নেতার মধ্যে কথা হয়।

বিজ্ঞাপন

কানাডার রফতানির তিন-চতুর্থাংশের বেশি যার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৪২৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করে কানাডা। যার সঙ্গে প্রায় দুই মিলিয়ন কানাডিয়ান চাকরি নির্ভরশীল।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বড় ধরনের শুল্ক আরোপ করলে জড়িত সব দেশের অর্থনীতি ক্ষতি হবে।

শুক্রবার প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ডে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ট্রুডো বলেন, আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করে উভয় সীমান্তে কর্মসংস্থান তৈরি করতে পেরেছি। ট্রাম্পের সঙ্গে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রত্যাশা করছেন তিনি।

ট্রুডো বলেন, তার লক্ষ্য হবে ট্রাম্পকে এটা বোঝানো যে এই শুল্ক কেবল কানাডিয়ানদের ক্ষতি করবে না। বরং এটি আমেরিকানদের জন্যও মূল্য বৃদ্ধি করবে এবং মার্কিন অর্থনীতির ক্ষতি করবে।

ট্রাম্পের সাথে ফোন কলের পর, ট্রুডো বুধবার কানাডার প্রদেশ ও অঞ্চলের নেতাদের সাথে একটি জরুরি বৈঠক করেন। কীভাবে মার্কিন-কানাডা সম্পর্ক পরিচালনা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা।

মার্কিন শুল্কের হুমকি এমন সময় এসেছে যখন কানাডার অর্থনীতি ইতোমধ্যেই মন্থর হয়ে পড়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ইতোমধ্যেই ট্রুডোর জনপ্রিয়তা কমে গেছে।