কেন ‘নির্বাহী আদেশ’ জারি করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতিগণ
ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিলসহ একশ’র বেশী নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এসব নির্বাহী আদেশের মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের যে বিধান দেশটির সংবিধানে আছে তা বাতিলে পদক্ষেপ গ্রহণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করার প্রক্রিয়া শুরু করা, প্যারিস চুক্তি থেকেও বেরিয়ে আসা ও যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে 'জাতীয় জরুরি অবস্থা' জারির মতো বিষয়ও রয়েছে।
এছাড়া ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিট্যাল হিলে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক প্রায় ১৫০০ জনকেও ক্ষমা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কিন্তু কেন ক্ষমতায় এসেই এসব নির্বাহী আদেশ জারি করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতিগণ? মূলত মার্কিন সরকারের নীতিতে নিজের প্রভাব বিস্তার করতে প্রেসিডেন্টদের মূল হাতিয়ার হচ্ছে এই এক্সিকিউটিভ অর্ডার বা নির্বাহী আদেশ। তবে ক্ষমতা নেয়ার পর সেই হাতিয়ার প্রয়োগ করতে এক মুহূর্তও দেরি করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুরুতেই তিনি বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন। সব মিলিয়ে একশোর বেশি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ইতোমধ্যে।
দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাহী আদেশের ঝড় তুলবেন বলে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন তার আক্ষরিক বাস্তবায়ন করে দেখালেন দেশটির ৪৭তম প্রেসিডেন্ট।
এক্সিকিউটিভ অর্ডার কী?
এক কথায় এক্সিকিউটিভ অর্ডার হলো যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে দেয়া একটি লিখিত আদেশ, যার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হয় না।
অর্থাৎ, নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত জারি করতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ বলে প্রেসিডেন্ট এই আদেশ জারি করার ক্ষমতা পান।
নির্বাহী আদেশের বদৌলতে সাধারণ ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে পরিবর্তন থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন নীতি নাটকীয়ভাবে পুরোপুরি উল্টে যাওয়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটতে পারে।
এই যেমন সোমবার প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প। এর ফলে জলবায়ু সংক্রান্ত আগের মার্কিন নীতির উল্টো পথে হাঁটা শুরু করলেন তিনি।
এর আগে ২০১৭ সালে বিতর্কিত দুটি তেল পাইপলাইনের নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছিলেন তিনি। যা পূর্বসূরী ওবামা প্রেসিডেন্সির নীতিগত অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত।
সূত্র: বিবিসি।