মিসর ও ইসরায়েল ছাড়া সব দেশে সহায়তা স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র
দুই ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল এবং মিসর ব্যতীত অন্য সব দেশে সহায়তা প্রদান স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসি, সিএনএন।
ওই বিবৃতিতে রুবিও বলেন, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশে এবং বৈশ্বিক কোনো খাতে অর্থ সহায়তা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে মিসর ও ইসরায়েলে আপাতত জরুরি খাদ্য সহায়তা ও সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে। বিগত প্রশাসনের আমলে যেসব সহায়তা প্রদান করা হয়েছিল, এবং প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। যাচাই শেষে এ ব্যাপারে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।'
যাচাইয়ের এই প্রক্রিয়া শেষ হতে ৮৫ দিন সময় লাগবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এরপর এ নিয়ে আবার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে।
সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সাহায্য দাতা দেশ হিসেবে পরিচিত। দেশটি ২০২৩ সালে বিভিন্ন দেশে সাহায্যের জন্য ৬৮ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
কিন্তু বর্তমানে দেশটির স্টেট ডিপার্টমেন্ট মনে করছে উন্নয়ন সহায়তা থেকে শুরু করে সামরিক সহায়তা পর্যন্ত সবকিছু নিয়েই নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এসেছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাবেক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, এতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত বিদেশী সাহায্য কর্মসূচিতে "সম্ভাব্যভাবে বিশাল" প্রভাব পড়বে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও সামরিক খাতের পাশাপাশি বেশি প্রভাব পরবে ইউক্রেনের ওপরে। কারণ রাশিয়াকে প্রতিরধের জন্য বিগত বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে শত শত কোটি ডলারের সামরিক ও বাজেট সহায়তা পেয়েছে দেশটি।
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন ট্রাম্প। এসব আদেশের মধ্যে বিদেশি সহায়তা প্রদান স্থগিত বিষয়ক একটি আদেশও ছিল।