হাজিদের সঙ্গে হজ এজেন্সির প্রতারণার নানা রূপ

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আরাফাতের ময়দানে দোয়া করছেন এক হাজি, ছবি: সংগৃহীত

আরাফাতের ময়দানে দোয়া করছেন এক হাজি, ছবি: সংগৃহীত

উন্নতমানের বাসা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও গাইড খরচের নামে বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো নানা কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নিলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পান না হাজিরা। বরং তাদেরকে জিম্মি করে চরম দুর্ভোগে ফেলা হয়।

অভিযোগ উঠেছে, চিকিৎসা ও পরিবহন সুবিধাসহ যেসব সুযোগ-সুবিধা হাজিদের দেওয়ার কথা ছিলো তা দেওয়া হয়নি। তাদের যে ধরনের বাড়িতে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সৌদি আরবে নেওয়া হয়, বাস্তবে তা হয়নি। রাখা হয় অত্যন্ত নিম্নমানের ঘরে গাদাগাদি করে। কাবা শরিফের কাছাকাছি বাড়ি ভাড়ার কথা বলে তাদের রাখা হয় ৫-১০ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে। যেখান থেকে পায়ে হেঁটে মসজিদে হারামে গিয়ে নামাজ আদায় করা অসুস্থ ও বৃদ্ধদের জন্য প্রায় অসম্ভব। গাড়ির কথা বললেও সেখানে গাড়ি দেওয়া হয়নি। গাইডের অভাবেও অপরিচিত জায়গায় হাজিদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেকে হজের আহকামও ঠিকমতো পালন করতে পারেননি।

বিজ্ঞাপন

আবার কিছু এজেন্সির বিরুদ্ধে হজ যাত্রীদের খাবার না দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পলিথিনে করে খাওয়া অযোগ্য পঁচা-বাসি খাবার দেওয়া হয় তাদেরকে। এজেন্সিগুলো খাবার সরবরাহ বাবদ মোটা অংকের অর্থ নিলেও হাজিদের নির্ভর করতে হয়েছে বাইরে থেকে কিনে আনা খাবারের ওপর। আবার অনেকে দেশ থেকে নেওয়া চিড়া মুড়ি খেয়েই দিন পার করেছেন।

পশু কোরবানি নিয়েও ছিল অস্বচ্ছতা। পশু ক্রয়ের জন্য টাকা নিয়ে হাজিদের অজ্ঞাতে কোরবানি দেওয়া হয়েছে। এমনই নানা অভিযোগ জমা পড়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে। অভিযুক্ত হজ এজেন্সির সংখ্যা ২০-২৫টির মতো।

বিজ্ঞাপন

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের হজ মৌসুমে বিভিন্ন হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সব হজ এজেন্সির বক্তব্য গ্রহণ, আনা অভিযোগ ও অভিযোগকারীর বক্তব্য যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে, লাইসেন্স বাতিল, লাইসেন্স স্থগিত, জামানত বাজেয়াপ্ত, আর্থিক জরিমানা, তিরস্কার দণ্ড থেকে শুরু করে যেকোনো শাস্তি দেওয়া হতে পারে। ক্ষেত্রবিশেষ অভিযোগ গুরুতর হলে অভিযোগকারীদের ফৌজদারি মামলারও পরামর্শ দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়।

আবার অনেক এজেন্সিকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পাশাপাশি ছোট অপরাধ করা এজেন্সিগুলোকে সতর্ক করা হয় ভবিষ্যতের জন্য।

হজ এজিন্সেগুলোকে শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তা২৪.কমকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর এজেন্সিগুলোকে শুনানির জন্য ডাকা হয়। আবার কোনো এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়।

মিনায় হাজিরা, ছবি: সংগৃহীত

হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মতিউল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এবার আমাদের কাছে ২০-২৫টি হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাই। সন্তোষজনক হলে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। কাউকে সতর্ক করে দেওয়া হয় ভবিষ্যতের জন্য। ইতোমধ্যে কিছু অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকিগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে।

শুরু হয়েছে আগামী হজের প্রাথমিক নিবন্ধন। চলতি মাসেই হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে, ইতোমধ্যে তিন ধাপে ২০২৫ সালের হজের প্রাথমিকভাবে যোগ্য ৮৯১টি হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। যাচাই-বাছাই শেষ আরও হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করা হবে।

অভিযোগের ধরণ
হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের নানা ধরণ রয়েছে। যেমন তদন্তের জন্য শুনানিতে ডাকা হয়েছে রোজিনা এয়ার ট্রাভেলসকে (হজ লাইসেন্স নং ১১২৭)। এই এজেন্সির বিরুদ্ধে চারজন হাজি অভিযোগ করেছেন। তাদের অভিযোগ, ‘এ’ প্যাকেজে রাখার চুক্তি করা হলেও অত্যন্ত নিম্নমানের হোটেলে রাখা, হারাম শরিফ থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে রাখা, নিম্নমানের খাবার পরিবেশন, মক্কা-মদিনায় কয়েক বেলা খাবার সরবরাহ না করা, হোটেল থেকে হারামে ও জিয়ারায় নিজস্ব খরচে যাতায়াত, মিনায় অসুস্থ হাজিদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা না করা এবং জেদ্দা-ঢাকা বিমান টিকিট চড়ামূল্যে হাজিগণের নিজেদের ক্রয় করা ইত্যাদি।

রোজিনা এয়ার ট্রাভেলসের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, ২০২৪ সালের হজপালনের জন্য মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে কোরবানিসহ এজেন্সিকে ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে ফ্লাইটের আগে আরও ১০ হাজার টাকা দাবি করলে তাও পরিশোধ করেন। কথা ছিল হাজিরা নিজেরা কোরবানির পশু জবাই করবেন। মিনা-আরাফা-মুজদালিফা থেকে জামারায় পাথর নিক্ষেপের পর এজেন্সির লোক মক্কায় হোটেলে নিয়ে যেতে চায় এবং কোরবানি হয়ে গেছে বলে জানায়। এতে হাজিরা প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন এবং কোরবানির টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে মনে করেন।

অন্যদিকে আমদা ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস (হজ লাইসেন্স নং ৫৯৮)-এর গ্রুপলিডার এবং মোজাহিদ হজ কাফেলার পরিচালক মোজাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে উমরাযাত্রীদের প্রতিশ্রুত সেবা না দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করা হয়েছে।

উল্লাস ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস (হজ লাইসেন্স নং ১২৭৭) ও ইউরুপা ট্রাভেলস (হজ লাইসেন্স নং ১৩৫১)- সৌদি আরবের বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের লাগেজে তামাকপণ্য জব্দ হওয়ার অভিযোগ এসেছে সৌদি কর্তৃপক্ষের তরফে।

স্কাই ওয়ার্ল্ড ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (হজ লাইসেন্স নং ১২১১)-এর বিরুদ্ধে ৮ জন হাজি অভিযোগ দিয়েছেন, তিন তারকা হোটেলে ও ক্লক টাওয়ার থেকে ৩৫০ মিটার দূরে রাখার কথা থাকলেও এজেন্সি তা করেনি। মক্কায় ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা শেষে নিম্নমানের হোটেলে রাখে, যা সৌদি সরকারের কালো তালিকাভুক্ত।

এছাড়া মক্কা থেকে মিনার তাঁবুতে নারী হাজিরা সিট পাননি। তারা অন্যের পাশে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। আরাফাতের তাঁবুতেও অনেক হয়রানি পোহাতে হয়েছে, আরাফাত থেকে মুজদালিফা যাওয়ার পর এজেন্সির লোক যোগাযোগ করেনি। মুজদালিফা থেকে জামারায় পাথর মেরে অত্যন্ত কষ্ট করে মক্কার হোটেলে পৌঁছান। হোটেলে পৌঁছানোর পর এজেন্সির লোকজন কোনো খবর রাখেনি এবং ঠিকমত খাবার দেয়নি।

রহমানিয়া হজ গ্রুপ (উমরা লাইসেন্স নং ৪৩০)-এর বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সেবা না দেওয়ার অভিযোগ, দি পদ্মা এয়ার ইন্টারন্যাশনাল (হজ লাইসেন্স নং ১২৬৬) উমরাপালনে গিয়ে হাজি হারিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত অভিযোগ, আবাবিল ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (উমরা লাইসেন্স নং ৪৬৩)-এর বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সেবা না দেওয়া এবং ১ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতি সংক্রান্ত অভিযোগ, স্টার হলিডেইজ (উমরা লাইসেন্স নং ৩৬১ ও হজ লাইসেন্স নং ৩৬২)-এর বিরুদ্ধে উমরাযাত্রীদের দেশে ফেরার সময় জাল টিকিট দেওয়া, ৪০ জনের টিকিটি না দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে পাঠাবে বলে মদিনা এয়ারপোর্টে নিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে।

মদিনার মসজিদে নববি, ছবি: সংগৃহীত

আবহা এয়ার ট্রাভেলস (হজ লাইসেন্স নং ১২৯৭)-এর বিরুদ্ধে প্রতারণা, সাদ ওসওয়াহ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (হজ লাইসেন্স নং ১১৩৮)-এর বিরুদ্ধে অন্য এজেন্সির (মেসার্স এন.এম.এস.এস ইন্টারন্যাশনাল, হজ লাইসেন্স নং ১৩১৯) মালিক লাইসেন্সের সুনাম ক্ষুন্ন করার অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। ভার্সেটাইল এয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড (হজ লাইসেন্স নং ১৩৯৭)-এর বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুত সেবা না দেওয়ার অভিযোগ করেন এক হাজি।

স্বদেশ ওভারসিস (হজ লাইসেন্স নং ১৫৩১)-এর বিরুদ্ধে হজ গাইডের অসহযোগিতা, নিজ ব্যবস্থাপনায় মদিনায় যাওয়া ও মদিনায় পরিত্যক্ত হোটেলে রাখাসহ নানাবিধ অভিযোগ এসেছে। লিড এজেন্সি হিসেবে ফিফাস ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনালকেও (হজ লাইসেন্স নং ১৪৯৬) এসব অভিযোগের জবাব দিতে হবে।

লাইম স্টোন রিসোর্ট এন্ড ট্যুরিজম লিমিটেড (হজ লাইসেন্স নং ০৯০৭)-এর বিরুদ্ধে এক নারী হাজি অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের হজে যাওয়ার জন্য ৪ লাখ টাকা প্রদান করেন। হজে না নিয়ে এজেন্সির মালিক সৌদি চলে যান। পরে হজযাত্রী ট্রান্সফার হয়ে অন্য এজেন্সির মাধ্যমে হজে গমন করেন। কিন্তু লাইম স্টোন রিসোর্ট এন্ড ট্যুরিজম হজযাত্রীর টাকা ফেরত দিচ্ছে না।

মুনিরা ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (হজ লাইসেন্স নং ১০৫৮)-এর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার পরেও হজে না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নিম্নমানের হোটেলে রাখা, নিম্নমানের খাবার পরিবেশন, খারাপ আচরণসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে সাবওয়ে ট্রাভেলস এন্ড হলিডে (হজ লাইসেন্স নং ১২৩৩)-এর বিরুদ্ধে।

আবাবিল ইন্টারন্যাশনাল ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস লিমিটেড (হজ লাইসেন্স নং ১২৯৫)-এর বিরুদ্ধে হজে না নিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।

এমদাদ এয়ার ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (হজ লাইসেন্স নং ১৪৭৭)-এর বিরুদ্ধে ৪২ জন হাজি প্রতিশ্রুত সেবা না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন।

প্যান ব্রাইট ট্রাভেলস (প্রা.) লিমিটেডের (হজ লাইসেন্স নং ১১১)-এর বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হোটেল না দেওয়া, ৩/৪ দিন পানি সরবরাহ না করা, কোনো বেডশিট না থাকা, এসি নষ্ট, ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার না করা, ফ্যান ও ফ্রিজ নষ্ট ইত্যাদির অভিযোগ এসেছে হজযাত্রীর পক্ষ থেকে।

২০২৪ সালের হজে হাজিদের হেনস্থা এবং খাওয়া নিয়ে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এসেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে হাজি শরীয়তুল্লাহ ওভারসিজ লিমিটেড (হজ লাইসেন্স নং-০৩১৭) এবং মদিনা স্টার ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস (হজ লাইসেন্স নং ০৯৮২)-এর বিরুদ্ধে।

অনুমোদিত ইমেইল আইডি ব্যবহার না করে অন্য আইডির মাধ্যমে ২৬ জন যাত্রীর প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম চালানোর দায়ে রাইসা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসকে (হজ লাইসেন্স নং ১৪৭৮) কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

হারিয়ে যাওয়া ৭৮ বছর বয়স্ক উমরাযাত্রীকে পালিয়ে গেছেন মর্মে প্রচারের মতো গুরুতর অভিযোগ এসেছে সাফা মারওয়া ট্রাভেলস (হজ লাইসেন্স নং ৩৬০)-এর বিরুদ্ধে। যদিও পরে হারানো ব্যক্তিকে বাংলাদেশ হজ মিশনের সহযোগিতায় দীর্ঘ এক মাস পর মক্কার আল-নূর স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাওয়া গেছে। এছাড়া এই এজেন্সির উমরায় যাত্রী পাঠানোর বৈধ অনুমোদন নেই।

ট্রাভেল নূরানী (হজ লাইসেন্স নং ১২৭৬)-এর বিরুদ্ধে এম আলী ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস (হজ লাইসেন্স নং ১৪০৬)-এর দেনা-পাওনা বিষয়ক পারস্পরিক বিরোধ এবং কিবলা ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেলস (হজ লাইসেন্স নং-১১০৮)-এর বিরুদ্ধে মক্কার বাড়ি ভাড়া বাবদ টাকা পাওনার অভিযোগ করেছেন মেসার্স সায়েম ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস ইন্টারন্যাশনাল (হজ লাইসেন্স নং ৫০৫)-এর স্বত্বাধিকারী। অন্যদিকে সিনেটর এয়ার ট্রাভেলস (হজ লাইসেন্স নং ১১৭৩০-এর বিরুদ্ধে উমরাযাত্রীর টিকিটের টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ এসেছে।

অভিযুক্ত এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি পাবেন। সেক্ষেত্র তাদের আর হজ কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে না।

জানা যায়, ২০২৪ সালের হজ কার্যক্রমে মোট ২৫৯টি হজ এজেন্সি অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ২৩৪টি ছিলো লিড হজ এজেন্সি। যদিও ১৫৩৩টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজে হাজি পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। কিন্তু পর্যাপ্ত হাজি না পাওয়া ছোট ছোট এজেন্সিগুলো ২৩৪টি বড় এজেন্সির সঙ্গে একত্রিত করা হয়েছে। অর্থাৎ যেসব হজ এজেন্সি সর্বনিম্ন ২৫০ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করতে পারেনি এমন এজেন্সি কয়েকটি এজেন্সির সমন্বয়ে একটি লিড এজেন্সি নির্ধারণ করা হয়। সৌদি আরব যোগাযোগসহ নানা সুবিধার জন্য কমসংখ্যক এজেন্সির মাধ্যমে হজযাত্রী গ্রহণে বেশি আগ্রহী।

এর আগে, নানা অভিযোগে ২০১৯ সালে ৪৭, ২০২২ সালে ৫৪ এবং ২০২৩ সালে ৬১টি হজ এজেন্সিকে শাস্তি দেওয়া হয়।