সাড়ে ৪ বছর বয়সেই কোরআনের হাফেজ!

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কোরআন মাজিদ, ছবি: সংগৃহীত

কোরআন মাজিদ, ছবি: সংগৃহীত

মাত্র সাড়ে ৪ বছর বয়সে ১০ মাস সময়ে মায়ের কাছে কোরআন মাজিদের হেফজ সম্পন্ন করার বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আহমাদ আবদুল্লাহ মাসুম। বর্তমানে তার বয়স ৪ বছর ৬ মাস ২৯ দিন।

বিস্ময়কর এই হাফেজে কোরআনের শিক্ষক তারই মা। হেফজের সময় আহমাদ কোরআন মাজিদের বাংলা অর্থও শিখেন, যা তার প্রতিভার আরও একটি প্রমাণ।

বিজ্ঞাপন

বিশ্বখ্যাত কারি শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আজহারীর মতে, এই বয়সে হেফজ সম্পন্ন করার ঘটনা বিশ্বে বিরল। ইরান বা আলজেরিয়ায় ৫ বছর বয়সে হিফজের দৃষ্টান্ত থাকলেও আহমাদের মতো সাড়ে চার বছরে এ অর্জন অভূতপূর্ব। আহমাদ তার হেফজ সম্পন্ন করতে সময় নিয়েছে মাত্র ১০ মাস ১৮ দিন।

আহমাদ আবদুল্লাহ মাসুমের বাবা টিভি উপস্থাপক মাসুম বিল্লাহ বিন রেজা। সন্তানের এমন সাফল্যে আল্লাহতায়ালার দরবারে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সন্তানের এ অর্জন শুধু গর্বের নয়, দায়িত্বেরও।

বিজ্ঞাপন

হাদিস ফাউন্ডেশন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আবদুল্লাহ ছাকিব বলেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে এই বিস্ময় শিশু যখন আমার মারকাযে (মাদরাসা) বেড়াতে আসে, তখন আমি নিজেই স্তব্ধ হয়ে যাই। শুধু কোরআন হেফজ নয়, সে কোরআনের শব্দার্থও শিখে নিয়েছে। বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় ঝরঝরে রিডিং করতে পারে। আরবিতে তার স্পিকিং দক্ষতা অসাধারণ। সব মিলিয়ে এটি এক অবিশ্বাস্য প্রতিভা।

ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ শায়খ শরিফ আবু হানিফ বলেন, আল্লাহর বড় মেহেরবানি। বিনয়ের সঙ্গে আল্লাহর শোকর আদায় করি। কারও বদনজর যেন না পড়ে খেয়াল রাখতে হবে। এ সংবাদ শুনেই সবাই মাশাআল্লাহ পড়বেন। তার জন্য দোয়া করবেন। সকল জ্বীন-ইনসানের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ ওকে হেফাজত করুন।

রাজধানীর গুলিস্তান পীর ইয়ামেনী জামে মসজিদের খতিব ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী বলেন, কোরআনে কারিম আল্লাহর পক্ষ থেকে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য শ্রেষ্ঠ মুজেজা ও অলৌকিক বিষয়। আল্লাহর বিশেষ তওফিকের ফলেই এই ছোট্ট শিশুটি অতি অল্প বয়সে অল্প সময়ে কোরআনের কারিমের হেফজ করতে পেরেছে। আমার জানামতে এত অল্প বয়সে ও অল্প সময়ে কোরআন হেফজ করার সৌভাগ্য বিশ্বের মাঝে আমাদের বাংলাদেশের এই ছোট্ট শিশুটি করেছে। আল্লাহ তাকে বিশ্বসেরা আলেম হিসেবে কবুল করেন।

আহমাদের ছবি পরিবার প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক, তাই তার ছবি প্রকাশ করা হলো না।