ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের নাজিরের কার্যালয় ভাঙচুর

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের নাজিরের কার্যালয় ভাঙচুর

ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের নাজিরের কার্যালয় ভাঙচুর

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করার অভিযোগ এনে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের নাজির শাহ্ মো. মামুনের কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১টার পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত তার কার্যালয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় গ্রেফতারের পর সকালে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে আসেন কামরুল ইসলামের ছেলে ডা. তানজির ইসলাম অদিত ও নাজির মামুন। এসময় কামরুল ইসলামকে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করেন মামুন।

অভিযোগ করা হয়, কামরুল ইসলামের ছেলেকে আদালতের ভেতরে প্রবেশের বিষয়ে সহযোগিতা করেন তিনি। তখন থেকেই কয়েকজন আইনজীবী ক্ষোভ প্রকাশ করেন আসছিলেন।

বিজ্ঞাপন

দুপুরে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আদালতপাড়ায় বিভিন্ন স্লোগান দেন। তারা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে যান। পরে কয়েকজন আইনজীবী নাজিরের কার্যালয়ে গিয়ে ভাঙচুর চালান। তবে তখন কার্যালয়ে ছিলেন না নাজির শাহ্ মো. মামুন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নাজির মামুনের বিষয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেনকে অবহিত করেন ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা। পরে বিচারক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানান।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির আইনজীবী মারজিয়া হিরা নাজির মামুনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ চেয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর অভিযোগ দেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সকালে কামরুল ইসলামের রিমান্ড শুনানিতে তার ছেলে ডা. তানজির ইসলাম অদিত ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতের লাল সালুর ভেতরে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন মহানগর আদালতের নাজির মামুন আসামি কামরুল ইসলামকে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করেন। আসামির ছেলেকে আদালতের ভেতরে প্রবেশের বিষয়ে সহযোগিতা করেন তিনি। নাজির গত ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে আসামি কামরুল ইসলামের নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগিতা করেছিলেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী অফিস সহায়ক মিজান জানান, দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে কিছু আইনজীবী এসে নাজিরের অফিস কক্ষ ভাঙচুর করেন। তখন তিনি অফিসে ছিলেন না। কাজে বাইরে ছিলেন।

এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম জানান, আমাকে ফোনে জানানো হয়েছে কিছু একটা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আমার ফোর্স সেখানে গেছে। তারা রিপোর্ট দিলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।