মেজর মঞ্জুর হত্যা মামলায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ৩০ জানুয়ারি

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মেজর জেনারেল আবুল মঞ্জুর হত্যা মামলায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামি ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) এ মামলায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও লে. কর্ণেল (অব.) শামসুর রহমান ওরফে শামসের উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।

বিজ্ঞাপন

এদিন আদেশ দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত (অস্থায়ী) ঢাকার ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ আজাদ সুবহানী সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামি মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া। তাছাড়া হাইকোর্টের স্থগিত থাকায় আসামি শামসুর রহমান শামস আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

বিজ্ঞাপন

রোববার এ মামলায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন ও লেঃ কর্ণেল (অবঃ) শামসুর রহমান ওরফে শামস এর পক্ষে উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিল না করায় রাষ্ট্র পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত (অস্থায়ী) ঢাকার ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ আজাদ সুবহানী সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিলের জন্য ৩০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত। এ দিন মামলার শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামি মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া। তাছাড়া হাইকোর্টের স্থগিত থাকায় আসামি শামসুর রহমান শামস আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটি দায়ের করা হয়। এর ১৯ বছর পর বিচারিক কাজ শেষে ২০১৪ সালে সেটি রায়ের পর্যায়ে আসে। কিন্তু এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে মামাটির কার্যক্রম পিছিয়ে যায়।

মামলাটির পুনঃ তদন্তের মধ্যে ২০১৯ সালে এরশাদ মারা যান। ২০২০ সালে মারা যান ডিজিএফআইয়ের সাবেক প্রধান আবদুল লতিফ।

২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি পুনঃ তদন্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন। দুই আসামি মারা যাওয়ায় আসামির তালিকা থেকে তাদের বাদ দেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে একদল সৈন্যের গুলিতে নিহত হন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। এ ঘটনার পর পুলিশের হাতে আটক হন চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর। পরে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা হেফাজত থেকে তাকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে যান মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক। ১ জুন এই সেনানিবাসেই গুলিতে নিহত হন মে. জে. মঞ্জুর।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এবং মৃত্যু সনদপত্র পেতে বিলম্ব হওয়ায় ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।