মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ এনে সাবেক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মো. মামুনুর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে তিনি এ মামলা করেন। মামলায় ১০০ কোটি টাকা মানহানীর অভিযোগ আনা হয়।
বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ডিবি পুলিশকে নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
অন্য আসামিরা হলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের সাবেক সদস্য ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর ও মনিরুজ্জামান টিপু।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা গত ২২ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বিদিশা সিদ্দিক এবং তার পুত্র সন্তান শাহাতা জারাব এরিক এরশাদের বিরুদ্ধে মানহানী, আপত্তিকর, বিভ্রান্তিকর ও অপমানজনক মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করেন।
এর আগে ২১ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে "হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট" সংক্রান্ত অনিয়ম নিরসনে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের জন্য দরখাস্ত করেন এরিক এরশাদ। এতে আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, একাধিকবার আসামী কাজী মো. মামুনুর রশিদ এবং ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা সময়ক্ষেপন ও তালবাহানা করছেন এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ট্রাস্টের হিসাব বুঝিয়ে দেননি। তারা।ট্রাস্টের অনিয়মকে বৈধ করার জন্য বেআইনীভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। কাজী মো. মামুনুর রশিদ দীর্ঘদিন যাবৎ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের অর্থ ইচ্ছামত নিয়ম বহির্ভূতভাবে খরচ করে আসছে। এরিক এরশাদ অসুস্থতা থাকা স্বত্বেও ট্রাস্টের সভাপতি ও সদস্যরা তাকে অর্থ প্রদান না করে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের ট্রাস্টের অর্থ লুটপাঠ করেছে। লুটপাটের প্রতিবাদ করায় বিদিশা দিদ্দিকের বিরুদ্ধে আসামীরা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে অপমানজনক সাংবাদিক সম্মেলন করে বক্তব্য দেন৷ এতে তাকে কলংকিত ও কালিমা লেপন করা হয়েছে। বিদিশা ও তার ছেলে এরিক এরশাদ জাতীয়, আন্তর্জাতিকভাবে, সামাজিকভাবে এবং মানসিকভাবে মারাত্মক অপমানিত এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যার ক্ষতির পরিমান ১০০ কোটি টাকা। বিদিশার সুনাম, সুখ্যাতি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে তার ব্যক্তিগত সুনাম বিনষ্ট করে। তিনি মানসিক, আর্থিক, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও সম্মানহানীর শিকার হয়েছেন।