যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে মুকুট চুরির ঘটনায় হাতাহাতি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে মুকুট চুরির ঘটনায় হাতাহাতি

যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে মুকুট চুরির ঘটনায় হাতাহাতি

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঐতিহাসিক যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে মুকুট চুরির ঘটনায় মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্থানীয় সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে হাতাহাতির হয়েছে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিজ্ঞাপন

হাতাহাতির বিষয়ে মহারাজা প্রতাপাদিত্য স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সভাপতি জয়দেব বিশ্বাস বলেন, নিরাপত্তাজনিত দুর্বলতার কারণে মুকুট চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতো গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান সম্পদ হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে পারেনি বলে মন্তব্য করায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় ও তার লোকজন আমাদের ওপর চড়াও হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্দির কর্তৃপক্ষের পক্ষে জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে বিশৃঙ্খলা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বহিরাগতরা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।

এ ঘটনায় শ্যামনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফকির তাইজুল ইসলাম বলেন, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা মন্দির পরিদর্শন করে বেরিয়ে যাওয়ার পর মন্দির কর্তৃপক্ষ ও সনাতন ধর্মের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে একটু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এদিকে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া মুকুট চুরির সঙ্গে জড়িতকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সনাক্ত করে স্বর্ণের মুকুট উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, মন্দিরে চুরির ঘটনা দুঃখজনক। খবর শোনা মাত্রই ঢাকা থেকে প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি চুরি হওয়া মুকুট যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে আনা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব দাশ, জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদ, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রহমানসহ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ।