লক্ষ্মীপুরে ফিলিং স্টেশনে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩, আহত ২০

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ

লক্ষ্মীপুরে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ

লক্ষ্মীপুর একটি বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত ও অন্তত ২০ জন দগ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরশহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় গ্রীন লাইফ ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বিজ্ঞাপন

নিহতরা হলেন সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা বটুমিয়ার ছেলে মো. সুজন, বাঞ্চানগর এলাকার সুজামিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া ও হৃদয় হোসেন । তারা সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন সুমন হোসেন, মো. রকি, মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, মো. হৃদয়, শান্ত খান ও আবদুল মালেকসহ ২০ জন। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা বাস ও সিএনজির চালক বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী মেঘনা পরিবহন নামে একটি বাস গ্যাস নিতে আসে গ্রীণ লাইফ ফিলিং স্টেশনে। এসময় বাসে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে স্টেশনে থাকা সিএনজি চালকরা ছুটাছুটি শুরু করেন। এসময় ঘটনাস্থলে মারা যায় সিএনজির তিন চালক। আহত হয় অন্তত আরও ২০ জন।

পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি নিম্নমানের ছিল। এতে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ ঘটে।

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। তাদেরকে আমরা চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ পাইনি। আহত আছেন ২০ জনের মতে। এরমধ্যে ১০ জনেরই কারো হাত, কারো পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন অংশে দগ্ধ হয়েছে। আমরা অধিকাংশ রোগীকেই ঢাকা উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি।