লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ ফাতেমা হত্যার ঘটনায় স্বামীর ফাঁসির দাবি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ ফাতেমা হত্যার ঘটনায় স্বামীর ফাঁসির দাবি

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ ফাতেমা হত্যার ঘটনায় স্বামীর ফাঁসির দাবি

লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ ফাতেমা আক্তারকে হত্যার ঘটনায় তার স্বামী রাজুর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় লোকজন ও মাদরাসা শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে যাদৈয়া মাদরাসার সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এতে ফাতেমার স্বজন, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং যাদৈয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

এতে বক্তব্য রাখেন, নিহত ফাতেমার মা রোকেয়া বেগম, ভাই আবদুল্লাহ, বোন রাবেয়া বেগম, মামাতো ভাই সুজনসহ এলাকাবাসী।

মানববন্ধনকারীরা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে বলেন, ফাতেমাকে নৃশংসভাবে তার স্বামী হত্যা করেছে। তার চার বছরের মেয়েকে মা হারা করেছে পাষণ্ড বাবা। তাই হত্যাকারীকে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে মানববন্ধনকারীরা জানায়, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে চন্দ্রগঞ্জ থানা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর ভোর রাতের দিকে জেলার সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদনগর গ্রামের ভিকটিম ফাতেমা বেগমের বাবার বাড়ির পুকুরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। ফাতেমা (২২) মৃত সাইফুল্লাহ মাওলানার মেয়ে। অভিযুক্ত রাজু (২৮) একই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজের বাড়ির মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে। সে পেশায় সিএনজি অটোরিকশা চালক। তার আরও এক স্ত্রী রয়েছে। ফাতেমা তার প্রথম স্ত্রী।

এ ঘটনায় ফাতেমার মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে রাজুর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ফাতেমার পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার রাতে ফাতেমা এবং তার স্বামী রাজু শ্বশুর বাড়িতে ছিল। ফাতেমাকে নির্যাতন করে তার স্বামী পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। বিয়ের পর থেকে ফাতেমাকে যৌতুকে দাবিতে নির্যাতন করা হতো। জমি বিক্রি করে তাকে বিদেশ পাঠিয়েছে। এরপরে ফাতেমার উপর অত্যাচার নির্যাতন করতো ফাতেমা। এছাড়া কয়েক মাস আগে ফাতেমাকে রেখে তার স্বামী রাজু আরেকটি বিয়ে করে। এতে তাদের সংসারে আরও অশান্তি বাড়ে। এ কারণেই ফাতেমাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।