লুটপাটের সাথে যুক্ত প্রকাশকদের কালো তালিকাভুক্তির দাবি

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

লুটপাটের সাথে যুক্ত প্রকাশকদের কালো তালিকাভুক্তির দাবি

লুটপাটের সাথে যুক্ত প্রকাশকদের কালো তালিকাভুক্তির দাবি

লুটপাটের সাথে যুক্ত প্রকাশকদের কালো তালিকাভুক্তির দাবি করেছে সৃজনশীল গ্রন্থ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) গ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক মনীষ চাকমা'র সাথে দেখা করে সমিতির নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

'বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’র পক্ষে উত্থাপিত দাবিতে বলা হয়, অতীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়ে বেড়ে উঠা সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি এই প্রকাশনা সেক্টর ভবিষ্যতে যেন এমন অন্ধকার সময় আর না দেখে, সেই জন্য লুটপাটের সাথে যুক্ত প্রকাশকদের কালো তালিকাভুক্তকরণ জরুরি। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বই ক্রয়ের আবেদনে সুযোগসন্ধানী, মতলববাজ, রাজনৈতিক সুবিধাবাদী ব্যক্তিবর্গ যেন অতীতের মতো নিজের একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামে লুটপাট চালাতে না পারে তা বন্ধ করাও আবশ্যক। তাছাড়া পক্ষপাতদুষ্ট, নিম্নমানের বইয়ের তালিকার মাধ্যমে বই নির্বাচনের দুর্নীতিগ্রস্ত ক্রাইটেরিয়ার ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা অপরিহার্য।

‘বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি’ বিশ্বাস করে, অভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের জোরালো ভূমিকা রয়েছে। এজন্য পাঠ্যাভ্যাস বৃদ্ধি, বই প্রেমীদের কাছে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ বই সহজলভ্য করা, নীতিমালা ও আইনগত সংস্কার সাধন জরুরি, যা প্রকৃত পেশাদার প্রকাশকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া সফল হতে পারে না।

বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থার প্রতিনিধিরা নিজস্ব মতামত জানায় এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ নিয়ে আলোচনা করেন। এই বিষয়ে প্রকাশক প্রতিনিধিরা তাদের লিখিত প্রস্তাব হস্তান্তর করে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে গণগ্রন্থাগার অধিদফতর কর্তৃপক্ষ ও প্রকাশকদের মধ্যে কার্যকর সম্পর্ক বিনির্মাণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। ভবিষ্যতে কাজের ক্ষেত্রে সহযোগিতার দিকগুলো আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভায় 'বাংলাদেশ সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি'র প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি ইকবাল হোসেন সানু (লাবনী প্রকাশনী), সাধারণ সম্পাদক মো. গফুর হোসেন (রিদম প্রকাশনা), মো. জহির দীপ্তি (ইতি প্রকাশন), দীপংকর দাশ (বাতিঘর), মো. আইনুল হোসেন (এএইচ ডেভলপমেন্ট পাবলিশিং), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (শোভা প্রকাশ), মাশফিক উল্লাহ তন্ময় (স্টুডেন্ট ওয়েজ), আবু বকর সিদ্দিক রাজু (স্বরে-অ), রাজ্জাক রুবেল (গ্রন্থিক), স্বপন কুমার দত্ত (জোৎস্না পাবলিশার্স), মো. সায়ফুল্লাহ খান (নূর কাসেম পাবলিশার্স)।