জেনেভা ক্যাম্পের মাদক সম্রাট বুনিয়া সোহেল গ্রেফতার
জাতীয়
মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বুনিয়া সোহেলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সোহেলের নামে মোহাম্মদপুর থানায় ৩টি হত্যা মামলাসহ, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও মাদকের ১৮টি মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সিলেট থেকে তাকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে র্যাবের একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞাপন
সুত্র জানায়, সিলেট থেকে বুনিয়া সোহেলসহ তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করার পর তাদের ঢাকায় আনা হচ্ছে।
বুনিয়া সোহেল জেনেভা ক্যাম্পের ৭ নম্বর সেক্টরের আব্দুস সালামের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্যাম্পটিতে গ্যাং কালচার চালু করেছেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ ‘চুয়া সেলিম’ ও ‘বুনিয়া সোহেল’ দুই গ্রুপেরর মধ্যে মাদক ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ চলছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ তারা লুট করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে দুই পক্ষই। সাম্প্রতিক কয়েকটি সংঘাতে এসব অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে ও গুলি ছুঁড়তে দেখা গেছে সংঘাতে জড়ানো দুই পক্ষকেই। গোলাগুলিতে দুই মাসে নিহত হয়েছেন পাঁচ জন। আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া উপজেলার একটি ছাগলের খামার ও গুদাম থেকে মাটি খুঁড়ে লুকায়িত ১৫ কোটি টাকার অবৈধ সিগারেট স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারের অভিযান পরিচালনাকারী একটি দল।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল তিনটার দিকে উপজেলার ফার্ম চেয়ারম্যান পাড়া এলাকায় ওই গুদাম ও খামারে অভিযান চালিয়ে এসব ব্যান্ডরোল জব্দ করা হয়। ওই গুদাম ও খামারটি সিগারেট তৈরিকারী প্রতিষ্ঠান বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোবাকো লিমিটেডের মালিকানাধীন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় চট্টগ্রামের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে চকোরিয়া উপজেলার ফার্ম চেয়ারম্যান পাড়া এলাকায় বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোবাকো লিমিটেডের মালিকানাধীন গুদাম ও ছাগলের খামারে এই অভিযান চালানো হয়। চট্টগ্রামের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের সদর দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে নিবারক দল কর্তৃক ‘চোরাচালান’ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এই অভিযানে ছাগলের খামারে মাটি খনন করে ফয়েল পেপারে মোড়ানো অবস্থায় ব্যবহৃত সিগারেট স্ট্যাম্প ও ব্যবহৃত সিগারেট ব্যান্ডরোল পাওয়া যায়। বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো লিমিটেডের কক্সবাজারের ভ্যাট ম্যানেজার মো. কামরুজ্জামান স্বপনের উপস্থিতিতে ৩৬ লাখ ২৪ হাজার পিস ব্যবহৃত সিগারেট স্ট্যাম্প ও আড়াই লাখ পিস সিগারেট নকল ব্যান্ডরোলের জব্দ করা হয়। বর্ণিত ব্যান্ডরোলগুলো ব্যবহার করলে প্রায় ১৫ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি হতো। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলছে।
চট্টগ্রামের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সব ধরনের চোরাচালান প্রতিরোধে ও সরকারি রাজস্ব স্বার্থ সংরক্ষণে সর্বদা অগ্রগামী ও গতিশীল। চোরাচালান প্রতিরোধের জন্য নিবারণী কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সকল ধরনের অবৈধ/জাল পণ্য ও সিগারেট বাজারে অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধ করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
জানা গেছে, বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো লিমিটেড চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুরের টিলটনের সিগারেট তৈরির কারখানা। যেটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাঁর ভাই আবদুল মান্নান। এ ছাড়া তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো নামের একটি প্রতিষ্ঠানও রয়েছে আবদুস সবুরের। বিভিন্ন সময় তাঁর বিরুদ্ধে সিগারেটের নকল ব্যান্ডরোল আমদানি ও নকল সিগারেট তৈরির অভিযোগ উঠেছিল।
আবদুস সবুর লিটন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডের দুবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ের পর সাবেক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর পরিষদের তিনি প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে আদালতের পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন ৬ পুলিশ সদস্য।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের সন্তোষপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া গোমস্তাপুর থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার নেতৃত্বে সাদা পোশাকের ৬ সদস্যের একটি পুলিশ দল আদালতের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২নং ওয়ার্ড সভাপতি মিন্টু রহমানকে আটক করতে গেলে স্থানীয়রা পুলিশ সদস্যদের মারধর করে তাকে ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় মারধরে তিনিসহ ৫ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় লোকজন তাদের ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। আহত পুলিশ সদস্যরা রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ওসি শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান।
রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে ভাঙচুরের পর আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এ ঘটনায় তিন গাড়ি সেনাবাহিনী এসে উপস্থিত হয়েছেন ঘটনাস্থলে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিন গাড়ি সেনাবাহিনী এসে উপস্থিত হয়েছেন ঘটনাস্থলে। তবে কোন পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
এর আগে সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক অপতৎপরতা ও দেশবিরোধী চক্রান্তের’ প্রতিবাদে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র শ্রমিক জনতা’ ব্যানারে মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে দুটি ইউনিট বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশিদ বিন খালিদ।
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ২ নভেম্বর জাতীয় পার্টি কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক চলছিল। এসময় বাইরে কিছু লোক এসে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পরে উপস্থিত জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর বিজয়নগর থেকে কিছু লোক এসে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের নিচ তলায় আগুন দেয়।
এর আগে, বিকেলে আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টির রাজনীতিক অতৎপরতা ও দেশ বিরোধী চক্রান্ত এই দেশে হবে না এবং তাদের রাজনীতি করার অধিকার নাই বলে এমন মন্তব্য করেন ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র, শ্রমিক, জনতার সদস্যরা।
বক্তারা বলেন, আপনারা জানেন আওয়ামী লীগ সরকার জুলাই মাসে সারা দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। তাদের সন্ত্রাসী অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হলেও জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ দোসরদের পুর্নবাসিত করার চেষ্টা করছে। বাংলার মুক্তিকামী জনতা তা কখনোই মেনে নেবে না।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এতদিন আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের জন্য ছিল না কোনো সুপেয় পানির ব্যবস্থা। সেই সংকট দূর হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে দূরদূরান্ত থেকে আগত রোগী ও স্বজনদের জন্য বিনামূল্যে পানির প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে এই ব্যবস্থা করেছে মানবিক সংগঠন আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন।
পানির প্লান্টের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন। এ সময় হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি ও ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ডা. তৈয়ব সিকদার, রোগী কল্যাণ সমিতির সমাজসেবা অফিসার অভিজিৎ সাহা উপস্থিত ছিলেন।
আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, ‘দূর দূরান্ত থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী আসেন। এতোদিন তাদের জন্য বিশুদ্ধ পানির কোন ব্যবস্থা ছিল না। এখন থেকে পানির জন্য তাদের আর হাহাকার করতে হবে না।’
আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন ২০০৬ সাল থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি জয়েন্ট স্টক কম্পানি থেকে রেজিস্ট্রেশন পায় এবং ২০১৯ সালে এনজিও ব্যুরো রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যসহ বিভিন্ন ধরণের মানবিক সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ফাউন্ডেশনটি। গাজার নির্যাতিত মানুষের জন্য আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চলমান বিবিধ জরুরি মানবিক কর্মসূচি চলমান রয়েছে, এছাড়াও প্রবাস ফেরত যাত্রীদের সহায়তায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে রয়েছে চলমান রয়েছে আশ ফাউন্ডেশন মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টার।